।। ২২শে শ্রাবণে ।। চয়নিকা ঘোষ

আরো দাও প্রাণ

দিন শুরুর উড়ালপুলের মসীমাখা গতিময়তা … কৃষ্ণচূড়া রাধাচূড়ার লাল-হলদের তাড়াহুড়ো প্রগলভতা-ট্রাফিক সিগন্যাল এর সবুজ বেষ্টন হীনতা। সদ্য ঘুম ভাঙা গন্ধের ভিতর দিয়ে হাতছানি দেয় চলমানতার ছাপোষা আলো। সেই প্রাত্যহিকতার ধ্বনি কানে শুনতে পাচ্ছি এবং চলন্ত গাড়ির ঝাঁকুনিরত সিটে গা এলিয়ে দিয়েছি! জানলা দিয়ে কবেকার ঝাপসা সাদা অ্যাম্বাসেডর ! ব্রাত্যর ও কত স্পন্দন! তারপর পার হয় নীলরঙা শীতাতপ আরাম বাস- আপোসহীন গন্তব্য আর জনজীবনের চোখ রাঙানি মাথায় রেখে।আর যায় পুরসভার কলুষ নিঙরানি যান ! দিন শুরুর বাহন! শহরের গতি আর যাপনের প্রগতি আলিঙ্গনরত অভিবাদনে চমক জাগায়। আমার রাত স্মৃতির শরীর ঝিমানো মন্থরতা আর প্রশ্রয় পায়না। চারিদিক এত বাঙ্ময় ও জীবন্ত। কোথায় ক্লান্তি!কোথায় নিশ্চলতা!আমার আশপাশ জিইয়ে রেখেছে গতি!আজ শুধুই রবিকবিকে মনে আসছে -আমার প্রিয় ছোট্ট পোষ্যকে গাড়িতে করে কবর দিতে চলেছি।তার গতি থেমে গেছে ভোরবেলায়। অথচ গতিতে ছেয়ে গেছে আবেগহীন আবছায়া!রবীন্দ্রনাথ নিশ্চয় সন্তান হারানোর পর এমন গতিরই ইশারা পেয়েছিলেন!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।