সদ্যস্নাত স্নাতকে এখনও চাকুরি জোটাতে পারিনি। বোনের বিয়েতে করা ঋণের সুদ, বাবার চিকিৎসা, ভাইয়ের পড়ালেখা সব ওর টিউশনের পয়সায় চলতো টেনেটুনে। এখন সব বন্ধ। কালবোশেখি ঝড়ে যেন ওকে ভীতর থেকে উপড়ে ফেলতে চাইছে। এভাবে অসহায়ত্বের শূন্যদৃষ্টি নিয়ে বিনম্ররা আসন্ন পরাজয় জেনেও লড়েতে থাকে, জীবনের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে।
বহু এলোমেলো ভাবনা এসে ভর করে।
কীভাবে ওষুধ কিনবে, চাল কিনবে ,বাসা ভাড়া… আর চিন্তা করতে পারেনা ও।
নিরবতা ভেঙে ফোন বেজে উঠে। চার মাসের বাসাভাড়া বকেয়া পড়েছে যে। ফোনটি হাতে তুলে নিয়ে, মৌন করে ঘাসের উপর রাখে। সেখানে আবছা-গোধূলিতে আলো একবার জ্বলে আর নেভে…।