একটি কুকুর টান টান হয়ে পড়ে আছে সে আলোর নীচে। ওর নাম ভূতো। এই সোসাইটির কেউ একজন এই নাম দিয়েছিল তাকে। সে বেশ আগেকার কথা। সেই যে শিশু ভূতো কোনো মানুষের পিছু ধরে এসেছিল এই গলিতে আর অন্যত্র যাওয়া হয়নি কখনো। আজ পর্যন্ত এভাবেই আছে সে। আছে এই শহরের ঘর গুলো আবার খোলবার প্রার্থণায়, আবার খাবার পাওয়ার প্রার্থণায়, আবার কেউ একজন হাত দেখিয়ে বলবে, ‘ভূতো !, নে !, নে!, ভূতো !,’ এই প্রার্থণায়।
যেই ফর্সা মেয়েটি নয়টা পাঁচটা অফিস করে বিস্কুট দিতো গলির মাথা হতে বাড়ি অব্দি। বলতো, ‘এই দেখ আজও তোর জন্য কী এনেছি, দেখ !, দেখ !, ‘
সেও হয়তো আসবে, যে চলে গেছে।
গত সপ্তাহের এক রাতে যখন স্ট্রেচারে শোয়া ওই ফর্সা মেয়েটি একবার ভূতোকে দেখেছিল ;
ভূতোও দেখেছিল মেয়েটির বুক কেমন বারবার দালানের মতো পাহাড় হয়ে ভেঙে পড়ার দৃশ্য।
এরপর একটি সাদা রঙা গাড়ি লাল-নীল দুঃখ, কষ্টের আলো ছড়িয়ে মুহূর্তেই হারিয়ে গিয়েছিল।