• Uncategorized
  • 0

অণুগল্প ১ বৈশাখের বিশেষ সংখ্যায় সীমন্তি চ্যাটার্জি

আপনজন

একদম মন খারাপ করবি না, তৃষার চন্দনচর্চিত সুন্দর মুখ টা ধরে সুচরিতা বলে উঠলেন…. আমিই এখন তোর মা… বলতে বলতেই তৃষার শীতল হাত টা নিজের ঠান্ডা হাতে জড়িয়ে নিলেন তিনি। তৃষার মা বাবা অনিতা ও তাপস বাবু একে অপরের দিকে তাকিয়ে নিশ্চিন্তের হাসি হাসলেন। এতদিন প্রতিমূহুর্তে কম উৎকণ্ঠা,কম দুশ্চিন্তায় তো কাটেনি,তার উপর নানান লোকের নানান কথা,এত সুন্দরী,তাও এতো বয়স অবধি বিয়ে হচ্ছে না কেন?কেন যে…..তা শুধু তারাই জানেন।তাই যে মূহুর্তে তৃষা অর্ককে বিয়ে করার কথা বললো, তাঁরা এক কথায় রাজি হলেন।অর্কর মা সুচরিতা তো ওদের থেকেও খুশি…,ওরা তৃষাকে অবশ্য অনেক বুঝিয়েছেন, তৃষাও বুঝেছে নিশ্চয়ই।সুচরিতা ওদের নিশ্চিন্ত করতে ঠিক তৃষাদের বাড়ির পাশেই ফ্ল্যাট ও কিনেছেন।
সেই ফ্ল্যাটের জানলা ধরেই বাইরের দিকে তাকিয়ে দাঁড়িয়ে ছিল তৃষা… আজ ফুলশয্যা। তৃষার চোখে এখন শুধু অর্কের পেশীবহুল, স্বাস্থ্যবান, উষ্ণ দেহের তৃষ্ণা।…. জানি রে মেয়ে,তুই কি ভাবছিস.. খিলখিল করে হেসে উঠলেন সুচরিতা। তৃষা এতো চমকে্ গেল যে পিছন ফেরার সময় নিজের তীক্ষ্ণ স্বদন্ত দুটো ভীতরে ঢোকানোর কথাও ভূলে গেল।…. দেখি দেখি…. ওম্মা আমার গুলো তোর থেকে অনেক বড়… তবে তোকে দেখেই বুঝে গেছিলাম,কালে দিনে তুই আমাকেও ছাপিয়ে যাবি।আয় মা,তুই আমার ছেলেকে দিয়ে তৃষ্ণা মেটা,… আমি না হয়,তোর বাবা,মা কে দিয়েই… যত ই লোভ লাগুক, একেবারে নিজের লোকেদের কি কেউ…আর নিজের রক্তের থেকে অন্য রক্তের স্বাদ ই আলাদা…… তৃষা দৌড়ে গিয়ে আবেগে সুচরিতা কে জড়িয়ে ধরে ডেকে উঠলো … মামনি… কে বলে বৌমা শাশুড়ি আপন হয়না !!!!!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।