• Uncategorized
  • 0

আধুনিক বাংলা ছবির যুগে ঋতুপর্ণ ঘোষ ছিলেন মরুদ্যানের মতোই

গতানুগতিকতার পথ পরিহার করে পর পর আমরা পেয়েছি অমূল্য সম্পদ ভিন্ন স্বাদের আমাদের বাস্তব জীবন। তার দুঃখের স্বাদ, আনন্দ বিভিন্ন গতিধারার পরিবর্তিত জীবন। গত দু তিন দশক ধরে এমন কাজ বলা যাবে না যা দর্শক কে অনুপ্রাণিত করেছে বা আমাদের ভাবনাকে বিপন্ন করেছে। সেই ভাবে প্রশ্ন ওঠে তালে কি সত্যজিৎ, মৃনাল, ঋত্বিক এর পর কি আর ভালো ছবি হয়নি কি?
তার উত্তরে সঠিক কিছু বলা যায়না তবে
বাংলা সিনেমা শিল্পর ভেতর -বাহির কোনও মহল থেকেই তেমন কোনো সাড়া মেলে না। অনেক ছবি বিনোদনধর্মী জাতীয় সিনেমার চিরাচরিত কাহিনির উপর নির্ভর না করে বলে মনে করা হয়ে থাকে। বিষয়বস্তুকে বাস্তব অথবা সমস্যাযুক্ত করে তোলার চেষ্টা করে ছবি তৈরি হওয়ার মধ্যে কোথাও সিনেমার আসল ভাষা খুঁজে পাওয়া যায় না। ছবির আগে ও পরের কাহিনি কথাটিই থেকে যায়।
সত্যজিৎ-ঋত্বিক-মৃণাল, তাঁদের পরবর্তী বাংলা সিনেমার মরুভূমিতে ঋতুপর্ণ ঘোষকে মরূদ্যান বলতেই হবে। যিনি চটকদার ছায়াছবির গতানুগতিকতা থেকে অনেকটা সরে এসে মধ্যবিত্ত জীবন, নারীর অবস্থান কিংবা সামাজিক জায়গাগুলি তুলে আনার চেষ্টা করেছেন। দৃশ্যের পর দৃশ্য তার শব্দকে ধরে দর্শক চলে যেতে পারতেন ভাবনার সিঁড়িতে বেয়ে । পৌঁছে যেতে পারতেন মানবিক অনুভূতির একদম শিখরে।
মৃত্যুর আগে তিনি তার পরবর্তী ছবি সত্যান্বেষী-র শ্যুটিং শেষ করেছিলেন। এই ছবিটি গোয়েন্দা ব্যোমকেশ বক্সীর কাহিনিকে ঘিরে তৈরি হচ্ছিল।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।