• Uncategorized
  • 0

আবার দল ভাঙলো

ফের ভাঙন, শিলিগুড়ির মেয়র পারিষদ সদস্য পরিমল মিত্র যোগ দিলেন তৃণমূলে সামনেই পুরভোট, তার আগে বামেদের অন্তর্কলহ প্রকাশ্যে এসেছে।

পুরভোটের মুখে বাম বোর্ডে ভাঙন ধরল শিলিগুড়িতে। মেয়র পারিষদ সদস্য পরিমল মিত্র-সহ তাঁর অনুগামীরা যোগ দিলেন তৃণমূলে। তাঁর হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব। এদিন একইসঙ্গে মহিলা ও যুব নেতৃত্ব সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে আসেন।
তৃণমূলের দলীয় সূত্রের খবর, ভোটের ঠিক আগেই পরিমল মিত্রর মতো এক জন পোড় খাওয়া বস্তি উন্নয়ন বিভাগের মেয়র পারিষদ সদস্যকে তৃণমূলে পেয়ে বেশ খুশি হয়েছেন নেতৃত্ব। সে জন্যই হয়তো কয়েক দিন আগে কংগ্রেস থেকে তৃণমূলে যোগ দেওয়া মেয়র পারিষদ সদস্য সঞ্জয় পাঠককে পাশে বসিয়ে এদিন পর্যটনমন্ত্রী বার্তা দেন, “এবার বস্তির মানুষের কাছে আমরা আরও সহজে পৌঁছতে পারব।” তিনি আরও বলেন, এমনিতেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি গরিব মানুষ পাশে রয়েছেন। এবার পাট্টা, লিজ দেওয়া-সহ সেই কাজটি করতে শিলিগুড়িতে আরও সুবিধা হবে।
তবে এদিন পরিমলবাবু তৃণমূলের যোগ দেওয়ায়, বামেদের মধ্যে যে কলহ তা প্রকাশ্যে এসেছে। বাম বোর্ডের মেয়রকে এর আগে তুমুল বিষোদ্গার করেছেন শিলিগুড়ি ৪ নম্বর ওয়ার্ড থেকে বিজয়ী হওয়া এই পরিমলবাবু। মেয়র অশোক ভট্টাচার্য চ্যালেঞ্জ দিয়েছিলেন এই বোর্ডের থেকে কেউ দল ছাড়বে না। পরিমলবাবু তৃণমূলে আসায় মেয়রের সেই চ্যালেঞ্জে বড় ধাক্কা। যদিও ‘‌বিশ্বাসঘাতক’‌ বলে তাকে দল থেকে বহিষ্কার করে দায় সেরেছে বামেরা। পরিমল মিত্রকে গত সপ্তাহেই সিপিএমের দার্জিলিং জেলা কমিটি বহিষ্কার করে।
এদিন তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পরে পরিমলবাবু বলেন, “যেখানে মানুষের জন্য কাজ করার সুযোগ বেশি, সেখানে এসেছি। বাম বোর্ডে যা চলছিল তা মেনে নেওয়া যাচ্ছিল না। নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা কাজ করতে চান, ভাঁওতা দিয়ে চলতে চান না। বাম বোর্ড এটাই করে চলছে।

শ্রেয়সী কাঞ্জিলাল

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।