“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় অমিতা মজুমদার
by
·
Published
· Updated
রবি প্রনাম
সেদিন কি ?
আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হয়েছিল ,
রাতের অন্ধকার ফুঁড়ে হাজার তারার আলো জ্বলেছিল ।
বাতাস বয়ে এনেছিল সমুদ্রে উত্থিত শঙ্খধ্বনি,
বনে বনে গুঞ্জরিত হয়েছিল পাখির কলতান ।
প্রকৃতি সেজেছিল আপন আনন্দে —-
শ্বেত শুভ্র কুন্দ কামিনী যুঁই মল্লিকা সবাই এসেছিল ,
দিতে অর্ঘ আপনারে তাঁর করপল্লবে।
মেঘমল্লার গুমরি গুমরি জানিয়েছিল অভিবাদন,
দীপালোকে আর ধুপের গন্ধে ভরেছিল তাঁর চারিপাশ।
সেই যে এক পঁচিশে বৈশাখে ,
জোড়াসাঁকো ঠাকুর বাড়িতে জন্মেছিল বাংলার রবি।
বিশ্বের কবি রবীন্দ্রনাথ ।।
সেইতো আমার প্রেম
অনুরাগ ! প্রেম !
সে আবার হয় নাকি প্রকৃতিকে বাদ দিয়ে ?
হ্যা সেই অসম্ভবই সম্ভব হয়েছিল কমলিকার জীবনে।
সেই কিশোর বেলায়ই তার মরণ হলো,
প্রেমে পড়লো সে প্রেম বা অনুরাগ বোঝা না বোঝার বয়সেই।
লম্বা জামা যা কেউ পড়েনা, তুষার শুভ্র কেশ আর শশ্ম্রু মন্ডিত এক পুরুষ,
তাকেই মেনে বসলো জীবনের ধ্রুবতারা।
মরণ আর কাকে বলে ?
তার উপর আবার অভিমানও জমেছিল,
কিশোর বয়সের চপলতায় ভাবতো সে কেন শুধু খোকার কথাই লেখে ?
মাকে নিয়ে ঘুরতে যাবে ,চাপার গাছে চাঁপা হয়ে ফুটবে সবই কেন খোকা,
খুকি কেন নয় ?
তারপর যখন কমলের চোখ দীঘল কালো হলো, মাঝে মাঝে ভ্রুতে কাঁপন জাগে,
তখন দেখে না সেতো চারুলতার কথা ঠিক বলেছে চারুর মনের মতো করে।
আবার সেই কমল যখন আরো বড় হলো,
দেখে তার প্রেমে সাড়া দিয়েছে তার প্রেমিক।
তাইতো কেমন অবলীলায় শরৎবাবুকে সাধারণ মেয়ে’র গল্প লিখতে বলেছেন,
মঞ্জুলিকাকে নিস্কৃতি দিতেও কার্পণ্য করেনি তার আরাধ্য প্রেমিক।
কমল যখন কর্কটের বিষে জর্জরিত হয়ে যন্ত্রণায় নীল হচ্ছিল,
তখন তার প্রেম যেন ঈশ্বরের মতো সোনার তরী খানি নিয়ে ,
কমলের শিয়রে বসে বেদনানাশক প্রলেপ লাগাচ্ছিলেন।