• Uncategorized
  • 0

“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় প্রভাত মণ্ডল

আমি হেঁটে যেতে চাই

আমি মানুষ এই পৃথিবীর বুকে, তুমি নক্ষত্র জ‍্যোতি,
আলোকিত করে আছো এ সাহিত্যভুবন,
তুমি রবি।তুমি অনন্ত অবিনশ্বর।
তুমি প্রদীপের শিখা,আমি পাশে শুধু ছায়া
হয়ে রই,অপলক নেত্রে চেয়ে দেখি
অতৃপ্ত জীবন নয়,তৃপ্ত মরণে আছে সুখ।
সেই পদ্মার পার,মানসীর সুর ধরে সোনার তরীতে চড়ে
যতবার যাই,ছিন্নপত্র সব নদীতে বিলাই,দেখি
নির্নিমেষ চক্ষে তাকিয়ে আছো তুমি।
তোমার শিলাইদহ আমার দুচোখে কবিতার আগুন জ্বালে
অহরহ, বৈশাখের খররৌদ্র থেকে শ্রাবণের বর্ষণে।
দেখি বিজ্ঞান থেকে বোধিসমুদ্রতলে তোমার বিচরণ।
সাহিত্য রূপী শরীরের প্রতি অঙ্গে তোমার বাস।
জীবনের শুরু থেকে শেষাবধি, সমুদ্রের সুবিশাল
জলরাশি থেকে সরোবরের বিন্দু বিন্দু জলকণায়
ভরে দিয়েছ অমৃতসুধা,এনে দিয়েছ সুখ,
তুমি রবি, আদ‍্যাবধি তুমি কবি।
আমি শুধু হেঁটে যেতে চাই তোমারই সৃষ্টি করা পথে।
শত আলোকবর্ষ পরেও তুমি নাথ সাহিত্য অঙ্গনে,
প্রকৃতির মধুরিমা থেকে মানবের হৃদিব‍্যথা,জীবন্ত হয়ে আছে
তোমারই লেখায়,আছে প্রতিবাদ‍ ধ্বনি,বিরহের মায়া।
তুমি পঁচিশে বৈশাখ,তুমি রবীন্দ্রনাথ,ফিরে ফিরে আসো বারেবার,
আমি মুগ্ধ হয়ে দেখি, তোমার সৃষ্টি সম্ভার,এ জনমে দিয়ে গেছো যত
শুধু পঞ্চেন্দ্রিয় দিয়ে ছুঁতে চাই, তবু অধরা থাকবে তুমি জানি,চিরদিনই।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।