“আমি ও রবীন্দ্রনাথ” বিশেষ সংখ্যায় তনিমা হাজরা
প্রণহোতস্মি দিবাকরম
রবি তো রোজই ওঠেন,
পুবাকাশ আলো করে,
সত্যিকারের ভোর দেখা যায়
বৈশাখ পঁচিশ হলে।
আলো হয় জোড়াসাঁকো,
সারদার চতুর্দশ গর্ভ,
বাঙালি ফুটে ওঠে,
ম ম করে ভারতবর্ষ।
বৈশাখ খর তাপের,
বৃষ্টি নেহাত দুচারফোঁটা,
এমনই দগ্ধদিনে
প্রেম লেখে সেই ছেলেটা।
প্রেম মানে কী নারী -পুরুষ,
ঈশ্বরও মিশে থাকেন,
মানুষের জন্য মানুষ
প্রেমে সেই শিল্প আঁকেন।
আলুনি জীবন জুড়ে
গানে আর কাব্যগাথায়
অঙ্কুর উঠলো ফুঁড়ে
বিস্বাদও স্বাদ হয়ে যায়।
যে ঠাকুর ধর্মছাড়া
সৃষ্টিছাড়ার প্রাণের কাছের,
যে ঠাকুর পাখ পাখালির
বনের পাতার মনের কাছের।
যে ঠাকুর নদীর জলের,
মেঘের চলায়, চাঁদের আলোয় পূর্ণমাসের,
সে ঠাকুর অঞ্জলি পায়
মনের গভীর দূব্বো ঘাসের।
সে ঠাকুর গান ফুরোলে
ফুটে ওঠেন গানের মতো
ক্ষতের গভীর থেকে
উপড়ে আনেন সকল ক্ষত।
রবি তাই বিশ্ব জুড়ে,
রবি নয় কারোই একার,
আলো যে ধরতে জানে,
ছোঁয় না তাকে আঁধার।।। ত নি মা।।