খাল-বিল-নদী অথৈ জলমগ্ন,স্থল বলে কিছু নেই
বরুণদেবের আশীর্বাদে মর্ত্যভূমি পরিপূর্ণ;
ঘর-বাড়ি খুইয়ে খড়কুটো ধরে বাঁচছে মানুষ
বৃষ্টির অপেক্ষারত চাতক নীড় বাঁচাতে বদ্ধপরিকর।
চাষের আহ্লাদে মাঠে নেমেছে চাষীর দল,
হাড়ভাঙ্গা খাটুনির পর ওরা আনতে চায় সোনার ফসল,
বিরহে কাতর ওই যে নিঃস্ব কিশোর,চড় মেরে ওঠাও
জ্ঞান ফিরিয়ে দেখাও এই অভদ্র বর্ষায় প্রকৃতির মুখ ভার।
পাহাড়ের গা বেয়ে ওই যে নেমে আসছে ঝর্ণা,ওকে ঝরতে দাও
যদি মুছে ফেলতে পারে খরস্রোত প্রবাহের পাথরের কলঙ্ক,
গান পাগলিনী নদী বয়ে যাক নৃত্যের ছন্দে,
মরা গাঙে বানের প্রকোপে আবার যদি দেখা হয়।
ভরেছে আষাঢ়, ভরেছে মদের গ্লাস
নেশায় বুঁদ হয়ে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিক হয়েছে প্রকোষ্ঠে;
নদীর বালুচরে মূর্ছা গেছে চোরাবালির ক্ষত
জাম-পলাশবন-হিজলের ছত্রছায়ায় কেটেছে কতো দিবস রজনী।