“এই শ্রাবণে আষাঢ়ে গপ্পো” বিশেষ সংখ্যায় সুশোভন কাঞ্জিলাল

বড়দা আর গলদা

সেই সকাল থেকে অবিরাম বৃষ্টি পরে চলেছে। চারিদিক একেবারে জলকাদায় প্যাঁচ প্যাঁচ করছে। আষাঢ় মাসের বর্ষামুখর এক রবিবার। আমার দুই পিসতুতো দাদা, ভাইয়া আর হিন্দোল আজ সকাল থেকেই আমাদের বাড়িতে এসেছে। আজ আমার খুড়তুতো দাদা দীপের জন্মদিন তাই ওদের নিমন্ত্রণ। আমরা পাঁচ ভাইয়ের মধ্যে সবচেয়ে বড় হলো আমার জ্যাঠতুতো দাদা মানে আমাদের সবার প্রিয় বড়দা। গুলবাজ বলে বাজারে বদনাম থাকলেও তাকে ছাড়া আমাদের আড্ডা মোটেই জমে না। আমরা পাঁচজন একজোট হলেই আমাদের আড্ডা বসে বড়দার চিলেকোঠার ঘড়ে, যার পোশাকি নাম পেন্টাগন।
হন্তদন্ত হয়ে বড়দা এসে ঘরে ঢুকলো। বৃষ্টিতে এক্কেবারে চুপচুপে ভিজে বাজার করে ফিরলো। ভেজা জামাকাপড় ছেড়ে চুল মুছতে মুছতে গুনগুন করে গান করছে “আজ ঝড়ো ঝড়ো মুখর বাদল দিনে..” আমরা যে সেই ঘরেই আছি যেন তার কোন ভ্রুক্ষেপই নেই। ভাইয়া বলল – “কি রে বড়দা! মেজাজ হেভ্ভি ফুরফুরে মনে হচ্ছে!” বড়দা চুল আচড়াতে আচড়াতে বললো – “গলদা চিংড়িটা যা এনেছি না! খেয়ে তারিফ না করে থাকতে পারবি না। খাস গোলদিয়ার গলদা চিংড়ি।” একি সঙ্গে আমি আর দীপ কেশে উঠলাম। “গোলদিয়া” কথাটা যে একটা টোপ আমরা সবাই জানি। নিশ্চয়ই কোন গল্প ফেঁদে এসেছে বড়দা। কিন্ত বুঝতে দিলে হবে না। জেনে বুঝেই টোপটা আমাদের গিলতে হবে নাহলে বড়দার একটা নতুন ঢপবাজি গল্প শোনা হবে না। দীপ ন্যাকা ন্যাকা সেজে জিজ্ঞাসা করলো – “গোলদিয়াটা কোথায় বড়দা! শুনিনি তো আগে!” খেকিয়ে উঠে বড়দা বললো – “এই জন্যই ভূগোললা তুমি। যা তো নিচ থেকে গিয়ে জিলিপি নিয়ে আয়। গরম গরম ভাজিয়ে নিয়ে এসেছি। এই ওয়েদারে জমে যাবে। নিয়ে আয় তারপর গোলদিয়ার অভিজ্ঞতা শোনাচ্ছি।”
চোখ বুজে জিলিপি খেতে খেতে বড়দা শুরু করলো – “তোরা তো জানিসই যে আমি জীবনে নানান বিষয় নিয়ে বিস্তর পড়াশোনা আর গবেষণা করেছি। প্রথাগত শিক্ষাব্যবস্থার ওপর আমার কোনোদিনই আস্থা ছিল না তাই স্কুল কলেজের লোভনীয় ডিগ্রির পেছনে আমি কখনই দৌড়োইনি। আমার গুরুদেব বলতেন সাফল্যের পেছনে দৌড়িও না, শ্রেষ্ঠত্বের অনুসরণ করো, সাফল্য তোমার ক্রীতদাস হবে একদিন।” হিন্দোল ফোড়ন কেটে বলে “বড়দা তোমার গুরুদেবের নাম কি শ্রীযুক্ত রাঞ্চোর দাস ছ্যাচর!” ভীষণ চোটে গিয়ে হাতের অর্ধেক খাওয়া জিলিপি ছুড়ে মেরে হিন্দোলকে বলে “গড্ডালিকার গর্দভ!” ভাইয়া পরিস্থিতি সামলে নিয়ে বলে “বড়দা ওই গোলদিয়ার ব্যাপারে বলো না! এই হিন্দোল বেশী পাকামো না মেরে শোন্ বড়দার গল্পটা।” আমি বলি “গল্প না এডভেঞ্চার বলো!” বড়দার মন ভিজলো, শুরু করলো – “তখন আমি পিসিকালচার নিয়ে বিভিন্ন গবেষণা করছি। মাগুর মাছ আর ইলিশ মাছের হাইব্রিড বানিয়ে উদ্ভাবন করেছি নতুন প্রজাতির মালিশ মাছের। ইলিশের মতন সুস্বাদু আবার মাগুরের মতন স্বাস্থ্যকর। আবার সেই বছরেই ইংলিশ চ্যানেল সাঁতরে পার করেছি। মিহির সেন মহাশয় করে ছিলেন চোদ্দ ঘন্টা পঁয়তাল্লিশ মিনিটে আর আমার আরো দুমিনিট বেশি লেগে ছিলো। সে যাইহোক হঠাৎ একদিন একটা চিঠি পেলাম। প্রেরক দেখলাম গোলদিয়া মৎস্যচাষী সংগঠনের সভাপতি শ্রী তিমির বড়া।” আমি না থাকতে পেরে বলেই ফেললাম “তিমি মাছের বড়া? এমন আবার নাম হয় নাকি? না খাওয়ার হয়?” বড়দা সবে চোয়াল শক্ত করে দাঁত খিঁচুতে যাচ্ছিলো, ভাইয়া বলে উঠলো – “আরে টিঙ্কু তুই কিছুই জানিস না! তিমির মানে অন্ধকার আর ওটা বড়া না সম্ভবত ভোহরা, পাঞ্জাবীদের মধ্যে এই পদবি হয়।” বড়দা একটু বিজ্ঞের হাসি হেসে আবার শুরু করলো – “জিকেটা একটু বাড়াও টিঙ্কু মাস্টার। চিঠিতে আমায় অনেক করে তাদের ওখানে যেতে অনুরোধ করেছে। ওনারা নাকি গলদা চিংড়ির উৎকৃষ্ট চাষ করেন। পৃথিবীর মধ্যে ফাইনেস্ট কোয়ালিটির গলদা চিংড়ি। সারা বিশ্বে এক্সপোর্ট হয় সেই চিংড়ি। কিন্তু লাস্ট কয়েক মাস ধরে শুধু প্রতিবন্ধী চিংড়ি উৎপাদন হচ্ছে ওনাদের ওখানে।” দীপ জিজ্ঞাসা করলো – “হ্যান্ডিক্যাপেড লবস্টার!” বড়দা – “ইয়েস ব্রাদার! বিকলাঙ্গ গলদা। কোনোটার ল্যাজ নেই তো কারুর দাঁড়া নেই বা আবার কারুর পেট থেকে কিছুটা অংশ আধখাবলানো। বাজারে তাই সেই চিংড়ির দাম একদম তলানিতে এসে ঠেকেছে। তারা কিছুতেই কোনো কারন খুঁজে পাচ্ছে না। তাই তদন্ত করে সেই রহস্য উদ্ঘাটন করতে, আমায় অনেক অনুরোধ করে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সেই চিঠিতে।” ভাইয়া জিজ্ঞাসা করলো – “তুমি গেলে?” বড়দা বললো –
“পত্রপাঠ আমার সম্মতি জানিয়ে দিলাম। ওনারাই আমার প্লেনের টিকিট কেটে পাঠিয়ে দিলেন। আমি গোলদিয়া গিয়ে পৌঁছলাম পরের শনিবার।” দীপ জিজ্ঞাসা করলো – “জায়গাটা কোথায় বড়দা!” বড়দা কাঁধ নাচিয়ে বলল – “মানচিত্রে পাবি না। পাঞ্জাবের মধ্যেই পরে। এক বিশাল খাঁড়ির তিনপাশ ঘেরা এক বর্ধিষ্ণু গ্রাম।” হিন্দোল জিজ্ঞাসা করলো – “খাঁড়ি মানে?” ভাইয়া বললো – “ক্রীক বলে যাকে ইংরেজিতে। নদীর মোহনা যথেষ্ট খোলা ও প্রশস্ত হলে তাকে খাঁড়ি বলে।” দীপ মাথা নেড়ে বললো – “ক্রীক মানে তো জানি।” বড়দা তাচ্ছিল্যের হাসি হেসে বললো – “দিশি ফিরিঙ্গি! তোদের মতন লোকেরাই ইংরেজদের মোসাহেবি করে রায় বাহাদুর খেতাব পেতেন!” হিন্দোল বললো – “আরে গল্পটা বলো না।” বড়দা আবার শুরু করলো – “আমি গিয়ে বুঝলাম ওখানকার লোকেদের ধারণা যে এই সব কোন অপদেবতার কাজ। বা কোনো সামুদ্রিক রাক্ষসের। তারা আমায় জলাশয়ের কাছে নিয়ে গিয়ে বেশ কয়েকটা চিংড়ি ধরে দেখালো। সত্যি চিংড়িগুলি একটাও সম্পূর্ণ আস্ত বা গোটা নয়। প্রত্যেকের শরীরেই কোনো না কোনো অংশ নেই। আরো শুনলাম মাঝরাতে মাঝে মাঝেই প্রবল জলোচ্ছাস শোনা যায় খাঁড়ি থেকে। যদিও ভয়ে রাতে বাড়ির বাইরে বেরিয়ে কেউ দেখেনি। কিন্তু জলের মধ্যে কারুর দাপাদাপির আওয়াজ অনেকেই শুনেছে। আমি সব শুনে কাল বিলম্ব না করে নিজের জামাটা খুলে জলে ঝাঁপ মারলাম। ওখানকার লোকেরা রে রে করে উঠলো। কিন্তু ভয়ডর এই ভরদ্বাজ ভৌমিকের অভিধানে নেই। পুরো খাঁড়ির জল সাঁতরে তন্য তন্য করে খুজলাম এমনকি নদী অবদি সাঁতরে খরস্রোতা নদীটাও এপার ওপার করে ফেললাম। কিন্তু কিছুই পেলাম না। ঘন্টা দুয়েক পরে যখন পাড়ের দিকে ফিরছি হঠাৎ দেখি জলের নিচে প্রচন্ড এক মাছের ল্যাজ। আমি ডুব সাঁতার কেটে ল্যাজের পেছনে ধাওয়া করতে হঠাৎ সেই ল্যাজটা অদৃশ্য হয়ে গেলো। আমি ব্যাপারটা বুঝে ওঠার আগেই দেখলাম পেছন থেকে এক বিশাল ল্যাজের ঝাঁপটা এসে পড়লো আমার মাথায়। আমি সংজ্ঞা হারাচ্ছি বুঝতে পারলাম। প্রবল যন্ত্রনায় সাঁতার কাটার ক্ষমতা নেই। ক্রমশ তলিয়ে যেতে লাগলাম। সেই কিঞ্চিৎ জ্ঞানের মধ্যেই দেখলাম কোথা থেকে এক অতীব সুন্দরী মেয়ে এসে আমায় দুহাত দিয়ে জাপটে ধরলো। আমায় টেনে ওপরে তুলতে লাগলো সাঁতার কাটতে কাটতে। আমি আর সজাগ থাকতে পারলাম না। সংজ্ঞা হারালাম।” আমি বললাম – “তারপর!” একটু হাফিয়ে বড়দা আবার শুরু করলো – “জ্ঞান যখন ফিরল তখন আমি খাঁড়ির তীরে। আমায় ঘিরে দাড়িয়ে আছে অসংখ্য উদগ্রীব স্থানীয় লোক। সবার চোখে জিজ্ঞাসু আর সন্ত্রস্ত দৃষ্টি। আমি ব্যাক ভল্ট খেয়ে উঠে দাঁড়ালাম। সবাই জিজ্ঞাসা করলো কি হয়ে ছিলো? আমি কি জবাব দেবো? আমি নিজেই তো কিছুই বুঝলাম না। বললাম আমি এখন খুব ক্লান্ত আর ক্ষুদার্থ। খেয়ে বিশ্রাম নিয়ে কথা বলবো। তারা কালবিলম্ব না করে আমার জন্য ব্যবস্থা করে রাখা থাকার জায়গায় নিয়ে গেলো। সেই বাড়িতে গিয়ে নিজের ভেজা পোশাক ছাড়ার সময় দেখলাম আমার প্যান্টের পকেটে একটা চিঠি। কাগজের নয় ওয়াটারপ্রুফ অদ্ভুত এক কাপড়ের মতন বস্তু। খুলে যা লেখা আছে তা পড়ে তো আমার চক্ষু চড়ক গাছ হয়ে গেলো। যা লেখা ছিলো তা সংক্ষেপে এই যে যেই মাছের ল্যাজের ঝাপটা আমি খেয়ে ছিলাম আর যেই সুন্দরী মেয়ে আমার প্রাণ বাঁচিয়ে ছিলো তারা অভিন্ন। একজন মৎসকন্যা। মারমেড বুঝলি তো? সে আদতে এক হাঙ্গর ছিলো। কোনো বিখ্যাত সাঁতারুকে কামড়ে মেরে ফেলেছিলো বলে তার অভিশাপে সে মৎসকন্যায় পরিবর্তিত হয়ে গেছিলো। তারপর আয়লার ভীষণ সামুদ্রিক ঝড়ে সে এই গোলদিয়ার খাঁড়ি তে এসে পরে। ফেরার পথ আর খুঁজে পায়নি। কারন অর্ধেক মানুষ হয়ে গিয়ে সে তার সহজাত সাঁতারের ক্ষিপ্রতা হারিয়ে ফেলে ছিল। তাই কোনোক্রমে এইখানেই লুকিয়ে ছিলো আর গলদা চিংড়ি খুঁটে খাবলে খেয়ে বেঁচে থাকতো। প্রাণী হত্যা করলে তার অভিশাপের মেয়াদ বেড়ে যাবে তাই মাছগুলোকে পুরো মেরে খেতো না। তার শাপমুক্তির পথও বলে গেছিল সেই মৃত্যু পথযাত্রী সাঁতারু। যদি তার চেয়েও ভালো সাঁতারুর ছোঁয়া সেই মারমেড পায় তবে সে আবার আগের রূপ আর গুন ফিরে পাবে। সে আবার হাঙ্গর হয়ে যাবে। তাই আমার ছোঁয়া পাওয়ার কিছুক্ষন পরেই হাঙ্গর রূপ ফিরে পেয়েছে সে। অসংখ্য ধন্যবাদান্তে সে আমায় জানিয়ে গেছে সেই চিঠিতে যে সে আবার গভীর সমুদ্রে ফিরে যাচ্ছে।” হঠাৎ বিষম খেলো ভাইয়া, মনে হয় হাসি চাপতে গিয়ে। আমি বললাম – “তারপর বড়দা! ওখানকার লোকদের বললে নাকি সব!” বড়দা বুক চিতিয়ে বললো – “পাগল নাকি! আমি হপ্তা খানেক ওখানে থেকে গেলাম। রোজ দুবার করে জলে নাবতাম নিয়ম করে। স্থানীয় লোকেরা ভাবতো কোনো প্রতিকারের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতেই আমি জলে নামছি রোজ। নিত্য চারবেলা দারুন ভোজ জুটতো আর আবহাওয়াটাও খুব স্বাস্থ্যকর ছিলো ওখানকার। তাই একপ্রকার ছুটি কাটিয়ে নিলাম এক সপ্তাহ সেই সুযোগে। দিন চারেকের মধ্যেই ওখানকার লোকেরা টের পেলো যে গলদা চিংড়ি গুলো এখন নিখুঁত আর গোটা উৎপন্ন হচ্ছে। আমি বললাম আর তাদের কোনো চিন্তা নেই। যা করার আমি করে দিয়েছি। তারা প্রমাণ পেয়ে আর আস্বস্ত হয়ে আমায় এক বাক্স উৎকৃষ্ট গলদা চিংড়ি দিয়ে সসম্মানে বিদায় জানালেন।” দীপ জিজ্ঞাসা করলো – “আচ্ছা চিঠিটা কি হাঙ্গর রূপ ফিরে পেয়ে লিখে ছিলো! হাঙ্গরের কি হাত থাকে?” বড়দা বলে – “হিবিস্কাস! ওটা মারমেডই নিশ্চয়ই আগে থেকে লিখে রেখে ছিলো। যার ছোঁয়ায় নিজরূপ ফিরে পাবে তাকে দেবে বলে। তোদের মতন অকৃতজ্ঞ তো আর বিশ্বে কোনো প্রাণী নেই।” হিন্দোল বলল – “বাহঃ সব তো ঠিকই আছে কিন্তু আমি যা জানি চিংড়ি তো সামুদ্রিক মাছ!” বড়দা বিরক্ত হয়ে বলল – “জ্যাঠামো করিস না তো। ওরা সমুদ্রের জল খাঁড়িতে সংরক্ষণ করে গলদা চিংড়ির চাষ করে। তাই ওরকম উপদেয় আর সুস্বাদু।” আরো কিছু বলতে যাচ্ছিলো কিন্তু হঠাৎ দিদিভাই ঘড়ে এসে বললো – “বড়দা আম্মা তোমায় ডাকছে নিচে। খোঁচে বোম একেবারে।” আম্মা মানে আমাদের ঠাকুমা আর ভাইয়া হিন্দোলের দিদা। এই ভৌমিক বাড়ির হর্তা-কর্তা-বিধাতা। বড়দা খানিক উদ্বেগ নিয়ে জিজ্ঞাসা করলো দিদিভাইকে – “কেনো রে? কি কেস!” দিদিভাই বলল – “তোমায় নাকি পই-পই করে বলে দিয়ে ছিলো দীপের ফেভারিট গলদা চিংড়ি আনতে আর তুমি নাকি বাগদা চিংড়ি নিয়ে এসেছো বাজার থেকে। তাও আবার পচা পচা।” বড়দা তিড়িং করে লাফিয়ে উঠে সুরুৎ করে জামাটা গলিয়ে ঘর থেকে বেড়িয়ে যেতে যেতে বলল – “আম্মা কে বলে দে আমি বাড়ি নেই। বৃষ্টিটা ধরেছে। পঞ্চাদা আর্জেন্ট দেখা করতে বলেছিলো। পেছনের জমাদারের সিঁড়ি দিয়ে নামি, ক্লাবটা কাছে হবে।” বলেই সটান দৌড়। আমরা সবাই হো হো করে হেসে উঠলাম। ভাইয়া চিৎকার করেই বললো – “গল্পটা মনে হয় গোলদিয়ার গলদার বদলে বাগদাদের বাগদা হওয়া উচিত ছিল বড়দা!”
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।