• Uncategorized
  • 0

এক ডজন কবিতায় উজ্জ্বল সামন্ত

“আপন-পর” – ১ 

যদি তারে ভালোই না বাসি
অভিমান হবে কিসের তরে
যদি তাকে বিশ্বাস ই না করি
বিশ্বাসঘাতক হবে সে কি পরিচয়ে !
যদি তারে পর ই ভাবি আত্মস্থ হয়ে
নিশ্চিন্তে মাথা রাখবে কার বুকে
ভালবাসার বাহুডোরে যদি বেঁধেই রাখি
হারিয়ে যাবে সে কেমনে দিয়ে ফাঁকি
যদি তারে পর ভাবি বিভোরে
তবে কেন সে আসবে রাত্রে স্বপ্নে
যদি তারে যৃণা ই করি
কেন ভিজবে বালিশ চোখের জলে

যদি তারে আপন ভাবি
মান অভিমানের খেলা তবে কার সঙ্গে
রাগ ভাঙ্গিয়ে চোখের জল মুছিয়ে
পর কি আপন হবে সব ভুলিয়ে ?

“ইচ্ছে” – ২

ইচ্ছে করলে আমরাই পারি সব বাধা দূর করতে
ইচ্ছে করলে আমরাই পারি প্রতিরোধ গড়তে
আমরাই পারি গুজব থেকে দূরে আতঙ্কিতের পাশে দাঁড়াতে
সতর্কতা অবলম্বনে গৃহবন্দী থেকে করোনা কে পরাস্ত করতে
ডাক্তার নার্স পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকায় প্রশংসা
ইচ্ছে করলেই রোগ থেকে মুক্তি উপায় সচেতনতা
আতঙ্ক-উদ্বেগ কোথায় পৌঁছেছে লকডাউনে প্রকাশ
ইচ্ছে থাকলেই উপায় হয় নেই কারো অজানার অবকাশ

এখনো যারা বেপরোয়া অসাবধানী শুনছে না বারণ
রোগ ছড়াতে তাদের ভূমিকা অনিবার্য কারণ
ইচ্ছে থাকলে শুধরে নেওয়ার প্রচেষ্টায় যতন
ভালো থাকবে তুমি ভালো থাকবো আমি রেখো স্মরণ…

 

“মন পাখি” -৩

মন পাখি আজ ব্যাকুল অজানার আহবানে
চাওয়া-পাওয়ার নেই বিরাম লালসার মিশ্রণে
হতেই পারে সত্য নিষ্ঠুর মিথ্যা প্রকাশ্যে রাখি
অনন্ত নীল আকাশে কি কখনো বন্দী হয় পাখি ?
হতেই পারে মনের অমিল ব্যবধান বর্তমানে
মন আকাশের ঘুড়ি ওড়ে নীলের আহ্বানে
ভাঙা প্রেম ভাঙ্গা মন জুড়বে কোনখানে ?
ভাঙা গড়ার খেলায় মেতে বিনি সুতোর টানে
আটপৌড়ে সম্পর্কের বাঁধন খুলে দিয়েছে
দিন শেষে পাখিরা দলে দলে বাসায় ফিরছে
ডানায় বিশ্বাসের হাওয়া বসন্তের ছোঁয়া লেগেছে
কোকিলের কুহুতানে রাতজাগা ভোর চোখ মেলেছে
আমার বলার ছিলো কিছু বাকিটা উহ্য রেখে
সম্পর্কের টানাপড়েনে মন পাখি আজ মরছে
নীল আকাশ আতঙ্কের ছায়া অন্ধকারে ঢেকেছে
মেঘেরা দলছুট হয়ে আকাশে কি ভেসে থেকেছে …

“ওরা”- ৪

দিনের এই প্রখর রোদে যখন গলিতে অন্ধকার নামে
দু’মুঠো অন্নের জোগাড়ে ইজ্জতটা রাস্তায় প্রতীক্ষায় থাকে
সমাজে ওরা অস্পৃষ্শ্য শরীরের পেশাই মাংসপিণ্ডে যন্ত্রণা নামে
লকডাউনে লাগাম টানে রাস্তা পথঘাট জনজীবনে
ওদেরও ঘর সংসার ছিল কোন এক কালে
নিয়তির পরিহাসে কু চক্রে ফেঁসে পতিতালয়ে
ক্ষুধার্ত শরীরের হাহাকার নিষ্পলক চেয়ে থাকে
ক্ষুধা তো আর হার মানে না পরিস্থিতির ইতিহাস বদলে
ভিক্ষা ওরা চায় না হাত পেতে গতর খাটিয়ে বাঁচে
শরীর যদি পণ্য হয় কিবা দোষ বিক্রেতার তাতে
সমাজ ওদের কি বলল তাতে কি বা যায় আসে
সমাজ কিন্তু ওদেরকে নিয়েও অবদান ওদেরও আছে
ভদ্র সমাজ নাক সিঁটকে পাড়ায় পাশে গেলে
রাতের অন্ধকারে তারাই আবার যৌবনের আনন্দ খোঁজে
আয়নায় নিজের ভাবমূর্তি বাঁচাতে সত্য সর্বদা ঢাকে?
ওদের ঘরের মাটিও কিন্তু দুর্গা পূজায় লাগে !

“তুমি আসবে বলেই” – ৫

‘তুমি’ আসবে বলেই অপেক্ষায় আছি
তুমি আসবে বলেই একতারায় গান বাঁধি
তুমি আসবে বলেই রাত জাগা ভোরে স্বপ্ন দেখি
তুমি আসবে বলেই আনমনে বুকের মাঝে খুঁজি
তুমি আসবে বলেই আমার একাকীত্ব দূরে রাখি
তুমি আসবে বলে মন ডানা মেলে উড়ছে পাখি
তুমি আসবে বলেই নীল আকাশে সোনালী সূর্যের হাসি
তুমি আসবে বলেই বৃষ্টিতে মাঠে বীজ রোপনে চাষী
তোমার তুমি কে খুঁজে ফিরি আমি অজানার দেশে
চোখের পলকে মন কখনো শূন্যে থেকে ভেসে
তুমি আসবে বলেই অপেক্ষার কিছু বাকি আছে
তুমি আসবে বলেই মন আজ নেই নিজের কাছে
তুমি আসবে বলেই অন্ধকার রাত্রি শেষে আলো
তুমি আসবে বলেই আগমনের অতিথিকে বাসব ভালো
অপেক্ষমান ভবিষ্যতের নতুন কিছুর আঙ্গিকে
তুমি আসবে বলেই তোমার তুমি তে হারিয়ে বাঁশিতে নতুন সুর সৃষ্টিতে…

“পূর্বরাগ” – ৬

কত মধুর কত গভীর তোমার আঁখির টানে
আমার আঁখির পড়ল ধরা তোমার আঁখির সনে
কখন আসে রাত্রি বা দিন কখন তারা যায়
আঁখির সনে আঁখির বাঁধন নিদ্রা তফাৎ রয়
তোমার সনে আলিঙনে অপলক লাজুক নয়নমণি
আমার খোঁজ হারায় অলীকে
তোমার তরে লাগি আজি
মনের কর্ষণ গোপিনীর খোঁজে
প্রেম তো অতিথির মতো
কখনো আসে কখনও যায়
মনের গভীরে ভালোবাসা হারায় অলীকে
বিরহী জীবন বিরহিনী মন অন্বেষণে
ক্ষুধা তৃষ্ণা ভুলে অনিদ্রিত অপলক চোখে
অনুরাগ পূর্বরাগ হৃদস্পন্দনে
দুটি হৃদয়ের স্বপ্ন বুনবে আলিঙ্গনে
উষ্ণ আবদ্ধ একে অপরের বাহুডোরে
ভালবাসার রাজপ্রাসাদ গড়বে ঐস্বর্গীক সুখে …

 

“গভীরে- গোপনে” – ৭

ও মনের গোপন চেনে না
মনের রং বিবর্ণ এটা বোঝে না
মন অন্বেষণে ঘুম আসে না রাত্রে
কাকডাকা ভোরে নিদ্রিত চোখে
কি যেন, কাকে যেন খুঁজে ফিরে
কঠিন ব্যক্তিত্ব পুরুষালী মনের কোনে
সত্যকে অনস্বীকারের কল্পনা বাস্তবে
একটা একটা করে প্রার্থিত স্বপ্ন ভাঙে
মন যখন অবজ্ঞা ঘৃণায় অহংকারী হয়ে ওঠে
যদি মনে পড়ে যায় কখনো স্মৃতিতে
যদি ভুলে যাও কখনো আমারে
যদি ডাইরির পাতায় মনের খাতার শেষে
লিখবে মোর নাম তোমার মনেরও মন্দিরে ?
আমাকে কি মনে রাখবে তোমার সিঁদুরে তোমার দুই হাতের কুমকুমে বা কঙ্কনে
অথবা রিমিঝিমি শব্দে পায়ের নুপুরে
দেহে-মনে কিংবা অশ্রুর নোনা সাগরে ?
ভাষা হারিয়েছে দৃষ্টান্তে ও আচরণে
মনের অন্তর্দ্বন্দ্বে দূরত্বের ব্যবধানে
না বলা কিছু কথার অন্তর্নিহিতে
দুঃখ যন্ত্রণা আমার কাছে ফেরে ইনস্টলমেন্টে
হয়তো তুমি এক ছোট্ট ভুল নিজের
গভীরতায় সাগরে অমাবস্যার অন্ধকারে
ভুলত্রুটি ভুলে ক্ষমার দৃষ্টিতে ইগোর লড়াই শেষে
গভীরতা কখনো মেপে দেখো মনের গভীরে
ভালো থেকো ভালো রেখো প্রার্থনা মনের অন্তর্নিহিতে…

“নষ্ট মেয়ে” – ৮

বলব এক নষ্ট মেয়ের গল্প
গল্প বললে ভুল হবে সত্য
যৌবনা উচ্ছলা লাস্যময়ী তরুণী
যৌবনের প্রেম দিয়েছিল হাতছানি ।
বয়সের দোষ বা ভাগ্যের পরিহাসে
বাবা মা ঘর ছেড়ে প্রেমিকের হাত ধরে পথে
ভালবাসার রাজপ্রসাদে ঐশ্বরিক সুখে বর
কল্পনাও করেনি ভাঙবে ভালোবাসার তাসের ঘর।
প্রেমিক শুধু নয় স্বার্থপর শয়তান লোভী
অবলা অসহায় মেয়েটা হয় বিক্রি
কলঙ্কের কালিমা তার কপালে চিহ্নিত
ভাগ্যের পরিহাসে নিষ্ঠুরতায় কলঙ্কিনী।
ভালোবাসার ছলনায় অসহায় নির্মমে প্রাণোচ্ছল মেয়েটা আজ জ্যান্ত লাশে
প্রতিটা রাত কাটে নির্মম যন্ত্রণায়
নখের আঁচড়ে ক্ষত বিক্ষত দেহ-মনে
আজ সে মক্ষীরানী পতিতালয়ে।
পতিতা বারবনিতা সে সমাজের চোখে
সরলতা অসহায়তায় আজ সে নষ্ট মেয়ে…

“নারী নির্যাতন : ব্যাধী সমাজের” – ৯

সমাজে অবহেলিত প্রাচীন কাল হতে
ভয়ে কুন্ঠিত উৎকন্ঠায় ছাপ চোখে
ভয়, অপ্রকাশিত মনের কোনে বসে
গভীর রাতে অসহায় নারী রাস্তায় পথে
দূর্বলতা কোমলতায় নাকি নাভির কটিদেশে
লোভীর লালায়িত দৃষ্টিতে অথবা
শরীরের অর্ধেক ঢাকা পোশাকে
দুর্বলতা মানসিকতায় না কামুক চিন্তাতে
ভেদ করতে চায় শরীর ,পোষাকের আবরণে
দুর্বলতা শরীরের ও মনের যখন
লোভীর নোংরা লালায়িত দৃষ্টি
আজও পুরুষ তান্ত্রিক সমাজে
অত্যাচারিত নারী অসহায় অবলা জ্ঞানে
সম্মতি বা অসম্মতিতে
নারী শুধুই দেহমাত্র রক্তমাংসের পিন্ডে
দৈহিক সুখে বিবেক মানুষিকতা বিসর্জনে
পাশবিকতার নিষ্ঠুর নির্মম অত্যাচারে
শরীর টাকে তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগী
১২ কিম্বা ৪২ বয়সী শিশু কন্যা বা মধ্যবয়সী
জানোয়ার রূপী মানুষ যাদের লুপ্ত হুঁশ
নরখাদকের ১২ সীমায় বেঁধে আজীবন কারাদন্ড বা ফাঁসির রায়ে শাস্তির বিধান
না,ঘৃণ্য ব্যাক্তির নেই সুস্থ সমাজে স্থান
ভাবতেও অবাক লাগে, বাকরুদ্ধ সমাজ
নারী শুধুই কি ভোগ্যপণ্য, ছিঃ ধিক্কার জানায়…

“প্রেম” – ১০

হ্যাঁ আমি প্রেমিক প্রকৃতিকে ভালোবেসে
রামধনুর রঙে রাঙা ফুল রংবেরঙে
শিশুর নিষ্পাপ মুখের খিলখিল হাসি
হ্যাঁ আমি কল্যাণকামী সুন্দরের পূজারী
প্রেমিক প্রেমিকা বন্ধনে আবদ্ধ যৌবনে অষ্টাদশীতে
প্রেমের বয়স যদিও থাকে না কখনো
কি সুখের তরে ভালোবাসায় আঘাত কষ্ট জেনেও
মানবীহৃদয় জীবনে কোনো না কোনো সময়ে প্রেমে পড়ে
প্রেমিক কি শুধু মনের অন্বেষণ করে?
কর্ষণের মাধুর্যতা ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে
প্রেমিকার হৃদস্পন্দনের স্পর্শ থেকে কখনো দূরে
প্রেমিক কখনো স্বার্থপর বেইমান বিশ্বাসঘাতক প্রেমিকার বিশ্বাসের মর্যাদা হানি আব্রু লুন্ঠনে
প্রেমিক প্রেমিকা কি শুধুই প্রেমের সম্পর্ক গড়ে?
প্রেম কি শুধু ভালোবাসার হাতছানি
অনুভূতি আবেগ বিবেকের অনুরণনে
মানুষ মানুষকে ভালোবাসে ও ঘৃণা করে
প্রেম ক্ষণস্থায়ী আধুনিক হাইটেক যুগে
সোশ্যাল মিডিয়া- ফেসবুক হোয়াটসঅ্যাপে
আত্মার টান প্রেমে ভালোবাসার বন্ধনে
ভালোবাসায় মন প্রকৃত প্রেমের অন্বেষণে…
প্রেম শুধুই কি দেহজ ভালোবাসা
কামনা-বাসনা দেহজ ক্ষুধা সুখ চরিতার্থে
নিষ্কাম প্রেম হয় না কখনো
প্রেম চরিত্র বদলায় সময়ের সঙ্গে
প্রেম কখনো দৃষ্টান্ত আত্মত্যাগে
পরকীয়া ই কি চরম পরিনিতি আধুনিক সমাজে ?

 

“মানুষ- মনুষ্যত্ব” – ১১

পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জীব মানুষের
বুদ্ধি জ্ঞান বিবেক বিশ্লেষণী বিচারে,
মান এবং হুঁশ এর সমন্বয়ে
পার্থক্যে নারী,পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গে ।
৭০০ কোটির বেশি সংখ্যা পৃথিবীতে
মানুষ সবাই কিন্তু মান হুঁশ কয়জনের আছে‌ ?
জাতপাত কুসংস্কার ধর্ম মতপার্থক্যে
বিরম্বনা যখন একে অপরের সঙ্গে দ্বন্দ্বে ।
ভাষা খাদ্যাভ্যাস পোশাক সংস্কৃতির বৈচিত্রে
রক্তের রং লাল পার্থক্য নেই সেখানে,
তবে কেন কুসংস্কার ও হানাহানি ধর্মের নামে
তবে কেন জড়িয়ে সন্ত্রাসবাদী কার্যকলাপে।
মুমূর্ষ রোগীর রক্তের প্রয়োজনে
তখন কি কেউ জাতপাতের বিচার করে?
মানুষ মনুষ্যত্ব আসল যখন
তবে কেন এত মতপার্থক্য বিভেদ ?
তবে কেন নারী পুরুষের লড়াই পুরুষতান্ত্রিক সমাজে?
কেন নারী অবহেলিত পদে পদে জীবনে -সংসারে?
আত্মত্যাগ কি শুধু তার একার জীবনে ?
মনুষ্যত্বের পরিচয় তার কর্মে মনুষ্যত্বে
*মানুষ সবাই
তুমিও মানুষ আমিও মানুষ
পার্থক্য শুধু শিরদাঁড়ায়…

“বিতর্কিত” – ১২

তর্ক বিতর্ক বুদ্ধিজীবীদের খেলা
অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী ছলনার মেলা
যুক্তি বিবেচনা জ্ঞান সমালোচনা
কথা বাক্য নীতিবোধের আনাগোনা
বিতর্কিত যে কেউ বা কোন ঘটনা হতে পারে
রাজনীতি, নেতা মন্ত্রী লেখক থেকে সাংবাদিক
এনআরসি থেকে কাশ্মীর রাজনীতি গণতন্ত্রে
তার সৃষ্টিতে শিল্পকলায় অবদানে মন্তব্যে
আন্দোলন রাজনৈতিক মিছিল জিডিপি বাজেটে
প্রকল্প পরিকল্পনা রাজনীতি বা উন্নয়নে
বিতর্ক যেন পিছু ছাড়ে না পিছনে টানে
সমালোচনার ঝড় বয়ে যায় ঘটনার আঙ্গিকে
সত্য উপলব্ধি তে ঘটনার আঙ্গিকে
ভুল বোঝানো যায় কিছু মানুষকে কিছু সময়ে
আজীবন সত্যকে কি রাখা যায় অন্ধকারে?
কটু সত্য বেরিয়ে আসে একফালি আলোক রশ্মিতে
বিতর্ক টেলিভিশনের পর্দায় বর্তমানে
নামি অনামী বহুগুণীর দেখা মেলে
তর্ক তরজায় নিজ বাক্য চিন্তাভাবনা প্রতিষ্ঠাতে
বিতরকের অবসান কি হয় মৌলিক দৃষ্টিতে?
বিতর্কিত বিতর্ক ,অতীত বর্তমান ভবিষ্যতে…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।