এক-হাজারটা রাত লেগে গেল এই রাতটার কাছে আসতে
এই অ্যাট্রপিন-সুরভি রাতে
একটা তামাম গোবি পেরিয়ে এসে
আবার তোর অতল দরজায়, তোপি!
আর কত-যে মুখ খুপরি ঘরটাতে
চেনা-চেনা, অচেনা-অচেনা, চেনা-অচেনা
কাদার বুদ্বুদের মতো ব্লপ-ব্লপ ফুটে উঠছে, বুজে যাচ্ছে
একটা হিংসায়-অস্থির মোমের আলোয়
তাদের মাঝখানে একটা একপলক মুখ
একজন্ম আগের চেয়ে যেন কিছু সাদা
আর একটা নিষ্পলক, পাপড়িহীন চোখ
জ্ব’লে কি উঠল (না) একবার?
কারা কী-একটা নামাচ্ছিল, যেন কফিন
স্বভাবতঃ হাত বাড়াই, হাত দিতে
আর— স্পষ্টই আমার হাত-দু’টো গায়েব
আর এক ক্রমপ্রসরমাণ মহাবিশ্ব
আমার পিছনে তুফান-তোলা গোবি
সেই পথেই পদ্মার-পাল-আমাকে উড়িয়ে নিয়ে চলল
একটা অপরিচিত চাউনি
একটা নিষ্করুণ চাউনি
একটা নিষ্প্রেম চাউনি
একটা মৃত চাউনি
১৭-জানুয়ারি-২০১৭
ক্রুসেড
জিঙ্গি, নুরুলদীন আর সালাদিন
এক ধূলিকুহেলির ভিতর থেকে বেরিয়ে আসছে
পিছনে ঘোড়া আর উটের খুরের
এক সমুদ্রগর্জন
আল্লাহু আকবর!
দূরে দিগন্তে একটা প্যাস্টেলের ধূসর রেখা
লেভান্ত্!
কয়েকটা আবছা ক্রুশ
তারাই, আরবদের স্বপ্নের নিশানা
আমি, আমার মরণকে পথ দেখিয়ে আনছি যেমন
তোমার কান্নার ক্রুশে