• Uncategorized
  • 0

কবিতাগুচ্ছ -তে জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়

প্রাণীবিজ্ঞানে সাম্মানিক স্নাতক,শিক্ষাবিজ্ঞান ও বাংলায় স্নাতকোত্তর, বি.এড.। শিক্ষকতাকে তিনি নিছক পেশা না ভেবে অনেক বেশি কিছু ভাবতে ভালোবাসেন। অজস্র কবিতা,গল্প,প্রবন্ধ,আলেখ্য,সমালোচনামূলক লেখা,কয়েকটি নাটক এবং একটি অসম্পূর্ণ উপন্যাস। তাঁর বেশিরভাগ লেখাই দেশ-বিদেশের অজস্র নামি ও অনামি পত্র পত্রিকায় প্রকাশিত।

বিভ্রম

অলীক বৃষ্টিফোঁটা মনের বিশ্রাম
অন্তর ভিজে যায় পুলকিত সুখে
নবীনকলির উন্মুখ দলাংশে
বিবিধ পুলক উদ্ভূত ওমের সুখ
শরীরে যার হদিশ মেলেনা।

পটকথা 

প্রত্যাশাহীন অন্ধকার জিওলমাছের
বাধ্যতায় বাঁধা পটুত্ব হারানো চোখে
জৌলুসভীতি ক্রমশ নিমজ্জমান
সুখমাখা স্মৃতির বনানী দেখে নেয়
কালো কথার হীরকমালিকা।

ছায়া

মুখোমুখি অন্ধকার প্রসারণ জুড়ে কত আলো
রেখেছো গল্পের সুখ কথকতা প্রবল তারল্য।
ছিঁড়েছো কুয়াশাজাল মায়াঘুম স্বপ্নসঞ্জাত
তোমার বুকের কাছে দুটি পাখি পাখসাট রত।
বরফের সান্দ্রতা গলে যায় কথাদের ঘায়ে
আবেগ অশ্রু যত ঝরেছিল স্মৃতিসুখ দিয়েছে মুছিয়ে।

হেমন্ত নির্মোক – ১৪

ধানকাটা দুপুরের উষ্ণতা নিয়ে বেশতো নরম মাফলারে
জড়িয়ে যায় নকশিকাথাঁর বিরহসংগীত। ঘরে ফেরে
কয়েকটি স্মৃতির বিকেল। ক্লান্ত হাতধোয়াধুয়ি মলিন
বিছানায় যাওয়ার আগে ক গ্রাস ভাত গেলার পরিতৃপ্ত
শব্দ বলে যাও।
সাড়ে তিনহাত গর্তের হিমরাত তুলে দেয় একটি অক্লান্ত ভোর।
দ্রৌপদীর টুংটাং বাজলো কিনা বল্লভের হাতিয়ার
কতটা কুশল জানার সুযোগ আসে না দেখা হবে দুপ্রহর পরে।
এইসব হিম মাখামাখি বাইরের আলোগান খুশির আলপিন
বেশ লাগে। এখন পোশাক খোলা দ্বিধাহীন কখন হারাও!
দুপুরের রোদে ফিরি প্রসাধন সাজিয়েছে আলো এযে
ভালোলাগা হাতে আঁকা নয় হেমন্তের ফাঁদ।
বসন্ত দোষ  নিয়ে বাঁচে তুমি শুধু হাত ধুয়ে সাদা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।