প্রিয় ঈশ্বরী আমাকে নাম ধরে ডেকো না আর ,আমার নামের উপর খোদাই হয়েছে অসংখ্য চঞ্চুওয়ালা পাখি।আমাকে বরং সমাজের ঠিক নামটা “শুয়োরের বাচ্চা”অথবা “বোকাচোদা” “বেইমান” এমন কিছু নামে ডেকো।আমার নামের উপর দস্তাবেজ চাপিয়ে দেখো না আর, যে নাম কুকুরের থেকে রুটি ছিনিয়ে খেতে পারে তাকে সবাই যদি “জারজ” নিম্ন রুচির যৌনতার ফসল বলে ডাকে ভুল কিছু হবে না।
আমার জন্মটাকে আঁশটে গন্ধযুক্ত দেয়ালের সাথে ঠেলে দিও,স্বার্থপরতার মুখোশ মাখা “বোকাচোদা”বলে ডেকে দিও কষ্ট পাবো না। যে হাতে ছুড়ি ওঠে কার্তিক মাসের শেষ রাতে কাঁদতে কাঁদতে যে চোখ বলে জন্ম আসলে মৃত্যুর আগের ঠিকানা সেই চোখকে “অশ্লীলতার ” কাপড় পরতে দিও।
আমার ডাক নামের মতোই এখন চারিদিকে মিশে গেছে গন্ধ, ধোয়াটে ঘৃণায় ভরা আল্ট্রাসাউন্ড , কিছুদিন পর এই সাউন্ড বিষাদের রুপ নিয়ে নিজেকেই হয়তো কখনো চোরা যৌনতার ফসল , অকাল ধান বলে ডেকে উঠবে ।
আমার নাম দিতে পারো “অযাচিত ” অথবা যখন ঘুম আসবে খুব শোকের মিছিল লাইন দেবে আমার শরীরে না দেখা ৩৫টা বেল্টের বারি দেখে নিও ।
আমি সভ্যতা থেকে দূরে থাকি, নিজস্বার্থ নিয়ে ভাবি আমাকে এখন বললেও বলতে পারো যা খুশী।
আমাকে ভালো নাম দিও না । দিলে এক ফোঁটা রক্ত দাও ,চিতা দাও ঈশ্বরী তিলে তিলে বেড়ে ওঠা রগরগে গরম খিস্তি দাও।আমার বুক জুড়ে রেখে দাও গরম খুন্তির ছাপ।
আসলেই আমাকে যদি শুয়োরের বাচ্চা বলেও ডাকো জেনে নেবো সমাজ আমাকেই আমাদের মতো অযাচিতদের ভালোবাসে ।
এবার আর কোনো স্যাড ইমো নয়। বোকাচোদা বলে আমার শরীরে গেঁথে দাও কবিতার চটচটে গড়ল…