যদা যদা হি ধর্মস্য /গ্লানির্ভবতি ভারতঃ।
আজ সেই দিন উপস্থিত
সমগ্র বিশ্ব আজ দুর্যোগের ভারে
ঝুঁকে গেছে নীচের দিকে।
সেই চিরোন্নত শির আর নেই,
এখন আর ঐ ইংরেজি মাস্টার বলতে সাহস পান না
Translation করো – মানুষ সর্বোন্নত সর্বশক্তিমান।
কারণ মানুষ আজ যুগের কাছে ব্যর্থ,
প্রকৃতির কাছে ভীত ত্রস্ত সন্ত্রস্ত।
কী জানি এই বুঝি এলো, ধ্বংস হলো শুরু!
বাইরে যেও না-ভাইরাস
মুখে চোখে হাত দিও না-ভাইরাস
দূরত্ব বজায় রাখো-ভাইরাস
মুখে মাস্ক পরো-ভাইরাস।
চতুর্দিকে শুধু ভাইরাস -জীবাণু।
পাড়ার মোড়ে চায়ের চুমুক
গড়ের মাঠে প্রেমিকের গোলাপ
আজ বাবরের ইতিহাসের পরের পৃষ্ঠা-অতীত।
জেলের ভেতর আসামীর ছবি- বর্তমান।
তার উপর ঝড় দুর্বিপাক, আম্ফান, নিসর্গ।
লক্ষ লক্ষ মানুষ ভিটেমাটি হীন
মরুতীর্থের বেদুইন।
এ যেন বিশ্বের পরিসমাপ্তি ঘোষণার প্রিলিউড।
বেজে চলেছে অবিরাম।
তবুও বাঁচার আশা
একে অপরের প্রতি
থাক না একটু ভালোবাসা।
হোক না ধ্বংস, হোক না নিঃস্ব
তবু তো থাকবে কিছু
যা আবার আসবে ফিরে
নবরূপে চিরন্তন হয়ে।
আবার হয়তো রচিত হবে
মিলটনের
PARADISE LOST।