প্রেম সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণার জন্য
ধারালো ছুরির প্রয়োজন।
ঝকঝকে তকতকে মেঝে, ইটালিয়ান টাইলস
আর কিছু এ্যান্টিক আসবাব থাকলে মন্দ হয়না।
তবে ফুল গাছ বিশেষত জবা বা ধুধুল একেবারেই নয়।
এদের সাথে ছুরির বনিবনা একেবারেই হয়না।
প্রতিদিন তাকে ধারালো করার যথার্থ প্রক্রিয়া পূর্বক শোধন করে বাঁটটিকে যথেষ্ট শিক্ষিত
করতে হবে।
যাতে মাটিতে গেঁথে দিলেও সে ধারালো ডগা নিয়ে অচঞ্চল থাকে।
তার সবেধন নিলমনি ডগায়
এক নধর ইদুরের ছটফটানি গেঁথে রেখে
ধর্মীয় স্তব শুরু করলেই দেখবেন আপনি
প্রকৃত প্রেমিকে রূপান্তরিত।
২.
জিরাফের পেট থেকে মতিহারী ডাক্তার খুলে নিয়ে গেছে তার সত্য পাকস্থলী
প্রেমিকার বাগানে এক ক্ষুধাহীন নায়কের অনন্ত
বিচরণ কাহাকে বা বলি।
চক্ষুর কোটরে কোটরে তার দেখো এক চলিতেছে
গাজন শিবের
কেহ চাল কেহ ডাল কেহ বা প্রেমিকা আনে
সাড়ম্বরে এহেন মেলা কই ঢের।
তুমি দেখো আমি দেখি পড়শিও আড়চোখে চেয়ে
দেখে যত ছেলেপুলে
তাই বলে এমত গাজন থেকে নিওনা হৃদিপিন্ড খানি নিজ দেহ থেকে খুলে।
যদিও বা খুলে নাও বাস্তুর এক কোনে আলোক
বর্ণের মাঝে থির সযতন
ইহা সব মৌল অধিকার নায়ক বকলমা ভার
মিহিন ক্ষত ঘিরে অহরহ রন।
৩.
এক জন পুরুষ যখন ঠিক ঠিক বাইজীর ভূমিকায়
অভিনয় করে।
তার সমতল অস্তিত্বে নিসৃত ঘামের কোন লিঙ্গ
হতে পারে।
হাড়িয়া না চড়িয়েও কোন পুরুষ তার প্রেমিক হলে
চরনদাস চোরের বউটা ভরা জ্যোৎস্নায় মরা কান্না শুরু করেছে।
এমন সব শব্দবন্ধ এক মাটির পাত্রে সঞ্চয় করবে বলে এক বুজুর্গ সাত সকালে আমার শরণাপন্ন।
যে যাত্রাপালায় বিবেকের ভুমিকায় আমি চূড়ান্ত বেমানান আর নাকের বদলে নরুনের মত আমাকে বলা হয়েছিলো শর্ত সাপেক্ষে বাইজীর ভূমিকায় নেমে পড়া।
রাতকে বলেছি আমার প্রথম খদ্দের হতে পারো।
আমার ফিনফিনে ওড়না নেই,সস্তা লিপ্সষ্টিক নেই
কন্ঠে বেগম আখতার বা মধুবালাও নেই।
এই শীতের রাতে আমার চূড়ান্ত অনটনের নাম
স্বপ্না বাইজী।
যেখানে রাতেরা আত্মগোপন করে থাকে কৃষ্ণপক্ষে।