• Uncategorized
  • 0

কবিতায় মো: রফিকুল ইসলাম

প্রধান শিক্ষক, হলদিয়া সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,লৌহজং,মুন্সীগঞ্জ, বাংলাদেশ।

১: প্রকৃতির ভালোবাসা

এ এক অদ্ভূত ভালো লাগা
ঘিরে আছে আমায়।
যেদিকে তাকাই, শুধুই
সবুজের হাতছানি!
প্রকৃতি যেন ডেকে বলছে এই তো সময় নিজেকে সাজাবার।

সোনালু,কৃষ্ণচূড়া আর নাম না জানা হাজারো ফুলের পারিপাট্যে সাজানো রাস্তার দু’ধার,
মনে হয় শিল্পীর রঙে আঁকা।

গাছের শাখায় নির্ভয়ে ডেকে যাওয়া প্রায় হারিয়ে যেতে বসা পাখিরা কি আবহই না তৈরী করছে গানে!

দিগন্ত জোড়া ফসলের মাঠ,
ব্যস্ত কৃষকের আনাগোনা,
প্রকৃতির এ এক অপরূপ দৃশ্য!

উপরে নীল আকাশ,ঘনকালো মেঘ,কখনো বৈশাখী তান্ডব আবার ঝুমবৃষ্টি।
কি খেয়ালিপনাই না আজ প্রকৃতিতে!

নদী খেকোদের অত্যাচারে প্রায় মরতে বসা নদীগুলোতেও এসেছে যৌবনের ডাক।
এর টলটলে জলের এমন রূপ কে,কবে দেখেছে কোথায়?

এত কিছুর পরেও প্রকৃতি যেন  একটি কথাই বলছে আমাদের-
“অনেক কষ্টে নিজেকে
সাজিয়েছি আমি।
দোহাই তোমাদের, কালোহাতের থাবায় যেন সব তছনছ করে দিওনা আমার।
তাহলে আমি হয়তো হারাবো আমার রূপ।
কিন্তু তোমরা? হারিয়ে যাবে একেবারেই।।

২: নিদারুণ কষ্টেরা আমার

রাস্তার প্রতিটা ধূলিকণা
বাতাসে ভাসতে ভাসতে
আমার কানে কানে বলে যায় ভালোবাসার কথা।

একাকি নিভৃতে পথচলা
মানুষ গুলো ও আমায়                      ভালোবাসার গল্প শুনায়।

আকাশে পেঁজা তুলোর মত ভাসতে থাকা মেঘেরা একে অন্যের সাথে ভালো বাসার আলিঙ্গনে জড়ায় পরম আবেশে!

কুলকুল রবে বয়ে যাওয়া
নদীর  স্রোতধারা আমায়
ডেকে বলে, এসো
ভালোবাসার গল্প শোনাই।

বনের পাখিরাও যে যার  মতো শোনায় ভালোবাসা গান।

বর্ণিল রঙে ফুটে থাকা
ফুলেরা শেখায়  কিভাবে                             ভালোবাসা বিলাতে হয়!

কিন্তু এ  মন এখন আর                              ভালবাসতে জানে না।
এখানে এখন শুধুই হাহাকার আর কষ্টে থাকা  অনাহারী মানুষ গুলোর জন্য নিরন্তর
রক্তক্ষরণ!।।

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।