কবিতায় সুশোভন বন্দ্যোপাধ্যায়
এন্ট্রান্স পোল
আন-দোলন আন-চাঁপা,
ব- খাটে, প্রেম মাপা,
ইন-টার্নে ল্যুকিং গ্লাস,
এবাউটে থাক্ চাপা।
বই রাগত, খাতা চুপ,
গনতন্ত্রের আদিম ধুপ-
পুড়ে ছাই, চল কামাই-
সারদায়, নারদায়।
ভাই পোনা, সব বোয়াল,
দেশপ্রেমে ভাঙ্ দেওয়াল,
ধাপ্পা দে, মিথ্যে বল্,
সত্যি ঢাক্, হোক্ বাওয়াল।
ভোট মোড়ক, ঝকঝকে,
ট্যাক্সে কাট্, হর্ পকেট,
বল্ হরি, হরিব্যল-
স্ট্রেট কথা বলবে কে?
আমরা আম, গুটিয়ে চাম
কাম খুঁজে- খুন নয়ন,
শব কা সাথ, সব খাবি খাস্,
ঢপচপের সংস্কৃতায়ন।।
সহজপাঠ
চক্ষুলজ্জার প্রথম বন্ধনীতে নদীর গতিপথ
বিস্তির্ণ চরে জেগে একাকী শ্যামলীমা
সুখের আশায় আজও বসন্ত আসে
ফিরে যায় শূণ্য হাতে
প্রতিটি সকালে গ্লানিমাখা রোদ্দুরের মার্কসিট
চোখে আঙুল দিয়ে বুঝিয়ে দেয়
যাবার আগে
কিছু নিয়ে যেতে হলে
দিয়ে যেতে হয় অনেক…
আটপৌরে প্রশ্নাবলী
গভীর নাভিমূলের নিচে রবীন্দ্ররচনাবলী রেখে যে মেয়েটির ছবি আজ দেখলাম সে কি মৃণাল নাকি মৃন্ময়ী, সোহিনী, চন্দরা নাকি খোদ লাবণ্য? নাকি ঠোটে রঙ মেখে রঙীন শাড়িতে, শরীরে বিভঙ্গ তুলে এ কি বিনোদিনী? নাহ্ মেলাতে পারলাম না কারো সঙ্গেই।বাঙালির ঘরে ঘরে আজও বিহারী’র বাস। গোরা তবু ভুলে যায় সুচরিতাকে, নিখিলেশের হাজার প্রচেষ্টায় বিমলাও কি ভুলতে পারে সন্দীপের মোহ?
সব ভুলে কি আর থাকা যায় ঠাকুর? গৌতমের সুজাতাকে বা তোমারও মনে পড়ে না কাদম্বরীকে?
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
