আমার শহরে
একইভাবে এখনো সন্ধ্যে নামে
মধ্যরাতে চলে টহলদারি,
এখনও বোধহয় লাশটা ব্রীজের তলায়,
নাহ্! ছেলেটা ফিরবে না আর বাড়ি।
চাকরি পেয়েও ঘুষ না দিতে পারায়
(যাঁকে)এক শিশি বিষ মুক্তি দিয়েছিল,
ধুলো জমে যাওয়া মেডেল মোছে বাবা,
মাধ্যমিকে নাইন্টি পার্সেন্ট ছিল।
চৌরাস্তার পাশের ডাস্টবিনে
মেয়ে বলে বাপ ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে গেল,
দশ মাস ধরে আশাবাদী ঠাকুমা,
নাতির জন্য সোয়েটার বুনেছিলো।
বছর পাঁচের মিলির কী দোষ ছিল
অন্ধকারে কী যেন খুব শক্ত!
ভোরের আলোয় ড্রেনের ধারে মিলি
সাদা ফ্রকে ছোপ ছোপ দাগ, রক্ত।
তবু,
বিকেল মানে আজও সবুজ ঘাস
খেলার মাঠে কাদামাখা পা জড়ায়,
কিছু ইচ্ছে প্রবল বেপরোয়া
কিছু স্বপ্ন ভীষণ বাঁচতে শেখায়।।