গল্প-কথায় প্রাপ্তি সেনগুপ্ত
কাল্পনিক কথা বলা
১
তুই কী সেই লাবণ্য?মানে The লাবণ্য সেন?
কজন লাবণ্যকে চেনো তুমি?
সারাজীবন একজন লাবণ্যকেই তো চিনলাম..নাকি চিনলাম না?
চিনতে চাইলে না বল..
সেই..চাইলামই না বোধহয়..
বছরের হিসেবটা করেছিস কখনো?মাঝে কিন্তু ১৫বছর..
এক আলোকবর্ষ পেরোতে আলোর ১৫ বছর লাগে হয়তো..আছো কেমন?
আছি এখন..এই মুহূর্তে আছি রে..
Inboxএ যদি কান্না দেখা যেত!!!
২
তুই ফিরলি তাই আয়না দেখাটা সহজ হল,যাস না আর,অল্প করেই থাক না হয়..
তুমি ছেড়ে যেতে বললেই ছাড়তে হয় তোমাকেও..এখনও কেউ কথার পিঠে কথা সাজিয়ে রাত জাগায় তোমায়?
এখন সব রাত একাই জাগি,জানিসই তো রাত বড় প্রিয় আমার..
ঠান্ডা ঘর,নিয়ন আলো আর সুখ বিছানাও রাত জাগায়..কতো রাত শুধু কথা বলে ভোর করেছি মনে আছে?
আর কখনও ‘পৃথিবী’ গাই নি আমি..গানটাই ছেড়ে গেছে তো,তাই সবকিছুই এখন লেখা হয়ে বের হয়..
পড়লাম সবকটা কবিতা..
নিজেকে পেলি?
না পাওয়াই ভালো যে..
মাঝে মাঝে ছেলেকে সবুজ বলে ডাকিস,আমার হয়ে..
এবার inbox এ শুধুই দুটো emoji..😊😊
৩
তোমার দিনযাপনে নতুন মানুষের আনাগোনা ছিল তো বরাবর..তবু ঘর বাঁধলে না কেন?
ঘর বাঁধার মানুষ পেলাম না তাই..সুনীলের স্বাতী কী সবাই হতে পারে?সেদিনের সেই চিঠির তোর একটা উত্তরে আজ জীবন অন্য হতো..
সেই চিঠিটা তারপর কতবার তন্নতন্ন করে খুঁজছি..হারিয়ে ফেলেছি হেলায় নাকি অভিমানে!!
এবার বোধহয় কথাও অন্য বাঁক খোঁজে..অন্য পথ ধরে..
কটা বাজে দেখেছিস?উঠবি তো সেই কাক ভোরে..৫:৪০ নাকি!!!
এতো ভেবো না আমার জন্যে,কেউ তো ভাবে না আজকাল,তাই অবাক হই,চমকে উঠি..
আমি ভাববোই..এবার ঘুমো please..
ঘুম এলেই ঘুমাবো..
কেন বুঝিস না তোকে ঘুম পাড়ালে আমারও ঘুম আসে..সমস্যাটা তো সেই ঘুমেরই..
what’s appএ শুধুই typing শব্দটা ভেসে ওঠে বারবার..উত্তরটা না পাঠানোই থেকে যায়.
৪