• Uncategorized
  • 0

গদ্য বোলো না -তে নিলয় নন্দী

যে বলেছিলো, চুপ করো
আমি তার ঠোঁটে অনামিকা রেখেছি।
যে বলেছিলো, শব্দহীন হও
আমি তাকে দিয়েছি আদ্যোপান্ত প্রেমের কবিতা।
তারপর?
হয়তো কোন এক অঝোর শ্রাবণ…
কবিতা, এক কথোপকথনের নাম। এক পূর্ণগ্রাস শব্দগ্রহণের নাম’ও। সে, সরু গলি আর বিকেল পেরনো এক ব্যালকনিমুখ। দু কাপ কফি, আলসেমি দিন আর আত্মগোপন বোবা হেডফোন। তুমি এলে বা এলে না, তবু তোমার সাথে কবিতায় কথা হলো।জলটলকথা, প্রেমট্রেমকথা এবং…। তুমি পাঁজরে বুনে দিলে মাত্রাবৃত্ত, কল্পনা ক্যানভাস। ক্লোরোফিল দিন বা তমসাতুমি- ঋণ সবার কাছেই। কবিতা মানেই তো ভীরু শিরদাঁড়া আয় উঠে দাঁড়া প্রেমিকের মুখ। কবিতা একা যুবকের অঙ্কুরোদগম,  একলা ডায়েরির পাতা, প্রেম আর শ্লোগানের প্রাচীন সঙ্গম। কবিতা কি ছেলেবেলা, উঠোনবন্ধু, আর ভাটিয়ালি শহরতলী! পড়শি প্রহর বা হলুদ পালক,  বৃষ্টিদানা বা বাড়ন্ত চাল, আর কত চাই বা নন্দনে যাই, একটু একটু করে জড়ো করি কবিতাপাতায়। তোমাকে না লেখা চিঠি, যত ভণ্ডামির মুখে ছুঁড়ে মারা কাদা, না কামানো দাড়ির মতো মলিন অশ্লীল শব্দ বা শীঘ্রপতন, সব আমি লুকিয়ে রেখেছি কবিতায়। আমি নিজেকে যুক্ত করি দ্বৈতকবিতায়। খুব শীতের ভোরে এক কম্বলে পোহাতে থাকি ওম। খুব শ্রাবণে এক ছাতায় ভিজতে থাকি পরস্পর। আমি তার চওড়াকাঁধ, সে আমার প্লাবনঠোঁট। সে আমার রুবাই, আমি তার সনেট। সে আমার হাইকু, আমি তার লিমেরিক। আমি ও কবিতা, দুজন দুজনের সহজিয়া সর্বনাশ। এ কাব্যদোষ রাখি কোথায়! আয় আমার জীবনযাপন, আয় আমার মরণবিলাস। গদ্য বলি না, গদ্য বোলো না। আমার নিলয়ে স্পন্দিত হতে থাকে না বলা কবিতারা…
হাতে হাত নিবি রাস্তা পেরোবি মগ্ন আলোর কবিতা
চিলেকোঠা চাঁদ গলা ছেড়ে কাঁদ মন্দভালোর কবিতা
কোনো কোনো দিন মনখারাপের ভালো নাম জেনো কবিতা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।