• Uncategorized
  • 0

গদ্য বোলো না -তে শিমূল রায়

যেদিন ওরা আগুন ছুঁলো ( 18 + )

(এই লেখায় সমকাম যৌনতার দৃশ্য রয়েছে. সংবেদনশীল পাঠকেরা দূরে থাকবেন)

শুরু হয়েছিল নীরব দৃষ্টি বিনিময় দিয়ে.
কোনো কথা হয়নি, শুধু চোখের চাহনি মেপে নেওয়া. ছোট ছোট পায়ে ভালোলাগার পথ চলা শুরু.
এক গোছা রজনীগন্ধার মধ্যে একটি লাল গোলাপের অনুভুতি.
কিছু কথা আছে যাদের শব্দের আকারে ঠোঁটের বারান্দায় সাজাতে হয় না. রোদের মতো অবলীলায় তারা নি:শব্দে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে. শুধু তার ওম’টুকু গায়ে মেখে নেওয়ার অপেক্ষা.
ফার্স্ট ইয়ারে পড়া দুই বান্ধবী, নিজেদের সম্পর্ককে গাছ আর পাখির মতো তৈরি করেছিল.
কখনও মিত্রা ওর নিজের সবুজের মধ্যে আশ্রয় দিত মালিনী কে.
কখনও খুব ঝর-বাদলের দিনে মিত্রা ভিজতে ভিজতে মালিনীর বুকের বাসায় এসে ভেজা পালক মুছতো.
পুরুষ বা নারী শরীর নয়,
কখনও কখনও একটা শরীর আকৃষ্ট হয় আত্মার শরীর এর কাছে.
ওরা কেমিস্ট্রি’র নোট শেয়ার করবে বলে সেদিন এক হয়েছিল.
কিন্তু কে জানতো ওদের মধ্যের কেমিস্ট্রি টা সেদিন পাল্টে যেতে চলেছে ! প্রথম বারের জন্য.
পুরো বাড়িটা সেদিন গেছিল একটি বিয়ের নিমন্ত্রনে.
শুধু এই ঘরটি থেকে গেছিল পড়াশোনা জড়িয়ে.
…খাতা বই অন্তর্বাস ডেইরি-মিল্কের প্যাকেট মাটিতে ছড়িয়ে পরে থাকবে একটু পড়ে !
মোবাইল সাইলেন্টে রেখে যৌনতা খাওয়ার শব্দে ঘর মুখরিত হয়ে উঠবে.
কে জানত প্রিয় বান্ধবির সব সুতো খুলে নিয়ে নতুন চাদর বুনবে মালীনি, কামনার রং দিয়ে !
মিত্রা’র সমস্ত লজ্জা, সংকচ আর বাঁধা দেওয়া গুলোকে মালীনি মোকাবিলা করেছিল নরম ঠোঁটের চুমু দিয়ে.
বয়ফ্রেন্ডের কথা উঠতে প্রথম চুমু পড়ল.
– তুই তো সিংগেল, বয়ফ্রেন্ড তো আমার আছে, তোর এত চিন্তা কিসের ?
মালীনির ছেলেমানুষ ঠোঁটকে সেদিন কিভাবে শান্ত করবে ভেবে পাচ্ছিল না মিত্রা. চুমু খেয়েই যাচ্ছিল পরপর !
নিষিদ্ধ আকর্ষনের শরীর বরাবরই কাঁচের তৈরি. উষ্ণতা পেলে গায়ে বিন্দু বিন্দু বাষ্প জমে.
আর নাহলে সামলাতে না পারলে ভেঙে টুকরো হয়ে যেতে পারে.
– আমরা কিছু ভুল করতে চলেছি মালীনি ?
– হমম চলেছি. – মালীনি নির্লিপ্ত ভাবে জবাব দেয়. – সব সঠিক নিয়ে চললে ভুলের রং যে ফিকে হয়ে যাবে !
তোর আর আমার সম্পর্ক লাল রঙের.
যখন আমাকে তুই সামলাস তখন আমরা সবুজ. আর খুশির বিকেলগুলোয় যখন চা কফি আড্ডা আর গঙ্গার ঘাট আমাদের ঘিরে থাকে, তখন আমাদের রং হলুদ.
কিন্তু এখন আমাদের নীল রং টা চাই.
বল ? চাই না ?
– তোর মনে এই ছিল কামিনী !?
চুপ করানোর জন্য আবার ঠোঁটে চুমু চাপা দেওয়া হলো.
দম বন্ধ হয়ে আসছে মিত্রার. পেন্ডুলাম এর মতো দুলছে ওর কামনা আর দ্বিধা.
গলায় ঘাড়ে নাক ঘষে মিত্রার ইচ্ছা-অনিচ্ছা-লজ্জার গন্ধ নিচ্ছিল মালীনি.
ধীরে ধীরে আলগা হলো জামার বোতাম.
খোঁপা করা গুছানো চুল খুলে পড়ল.
… প্রিয় মানুষটির শরীরের মিষ্টি গন্ধ পাগল করে সবসময়.
এসময় কোনো কথা মুখে আসে না !
কথা বলতে নেই এখন.
শুধু সম্মতির পথ ধরে দু:সাহসিক বাড়ির দিকে হেঁটে যাওয়া.
মিত্রার দিক থেকে সম্মতির প্রথম লক্ষন কি ছিল ?
মালীনির বুকের ওপর ওর হাত রাখা…
মালীনি হেসে নিজের টপ টা খুলে, উড়িয়ে দিল মুক্তমনা ভালবাসার আকাশে.
– ব্রা এর হুকটা খুলে দিবি আমার ? – মালীনির আদুরে আব্দার.
মিত্রার গালে কামরাঙা ফুটে  উঠছে.
ওর যোনি ফিশফিশ করে বলছে ভিজে যাওয়ার গল্প.
আঙুল গুলো বান্ধবীর ব্রা’এর হুক ছুঁলো.
…তারপর,
চোখ যেন দৃষ্টি খুঁজে পেল বুকভরা সুডৌল সৌন্দর্যের সামনে.
লজ্জায় আলতো করে মিত্রা বললো – তোর স্তন দুটো সুন্দর.
– স্তন না. দুদু বল. আমার দুদু শুনতে ভালো লাগে.
– আচ্ছা. দুদু.
– লোভ হচ্ছে দেখে ?
… লাজুক নীরবতা…
হেসে ধমক দিল মালীনি – আদর করবি আমায় ? না হাত গুটিয়ে বসে থাকবি ?
এই কথাটা একটা ছারপত্রের মতো.
ওর বান্ধবীর দুদুর বোঁটা ওকে এত টানবে কোনদিন ভাবেনি মিত্রা !
আঙুলের ডগায় কিছুক্ষন খেলে মুখে নিয়ে চুষতে শুরু করল মালীনির নরম দুদুর কালছে বাদামি বোঁটা.
অন্যরকম আবেশ. কতটা সময় বুঁদ হয়ে রইল ওরা, আদর দিতে, আর আদর নিতে.
পাল্টা প্রতিঘাত আদরেরও হয়…
যে সুখ ঘরে এসে পৌছায় সেটাই আবার হাতে করে তুলে দিতে হয় প্রিয়ার কাছে.
ফিরিয়ে দেওয়ার পালা, ঠোঁট জিভ চুমুর হিশেব বরাবর করার জন্য.
মিত্রা কে বিছানায় ফেলে একটু আগ্রাসন নিয়ে ওর দুদুর তেষ্টা চুষে খাচ্ছিল মালীনির সোহাগি পিপাসা.
নাকে নাক ঠেকিয়ে ওরা ঘনো করে চুমু খাচ্ছিল. গরম নি:শ্বাস জড়িয়ে আছে দুজনের, কোনটা কার আলাদা করার উপায় নেই.
দুজনের দুদু দুজনের সাথে লেপ্টে আছে.
হাত নামছে বিপদসীমার নীচে.
পেটের নাভী কেঁপে উঠছে উত্তেজনায়.
হাজার হাজার প্রজাপতি উড়ছে শিহরিত বাতাসে ডানা মেলে.
একটা সামান্য ছোট্টো প্যান্টি,
কখনও অন্তরায় হতে পারে না পূর্ণ নগ্ন যৌনতার দাবির সামনে !
যেটা কখন ভাবতেও পারেনি মিত্রা,
সেটাই হতে চলেছে !
মালীনি ওকে কানের কাছে মুখ এনে সতর্কবার্তা দিল – তোকে এখন এমন ভাবে খাবো আমি, তোর গুদ, যাতে তোর সমস্ত সুখ, হাঁটু মুড়ে প্রার্থনা করতে বসে আমার ঠোঁট জিভের বিগ্রহের সামনে.

( ২ )

… দুই বান্ধবীর এই শরীরি খেলা, আজকে গোপণীয়তার খামে মুড়ে রাখাই ভাল…
সমাজ হল একটা বুদ্ধিহীন আবেগহীন হিংস্র প্রানীর মতো !
তাকে পোষ মানাতে গেলে আক্রান্ত হবে,
তার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করলেও আক্রান্ত হবে !
বেঁধে দেওয়া নিয়ম সবার জন্য নয়.
তাই আমাদের কারোর কারোর তোশকের তলায় রাখা থাকে স্পর্শকাতর ডাইরি, যেটা একান্ত ভাবে আমাদের নিজস্ব.
মিত্রা আর মালীনি,
আজ ওদের ডাইরিতে লিখছে ওদের পারষ্পরিক যৌন উৎসব পালন করার কথা.
এই কথা বাইরে কারোর জানার দরকার নেই, কিভাবে মালীনি ওর বান্ধবীর যোনি চুষে চুষে অরগ্যাসম চেটে খেয়েছিল !
কিভাবে ও ক্লিটোরিস’টাকে জিভের ডগায় নাড়িয়ে মিত্রার শরীরে প্রতিটা কোষে শিহরন আর উন্মাদনা ঢুকিয়ে দিয়েছিল.
আমরা যেমন শত চেষ্টা করেও মুঠোর মধ্যে বালি চেপে ধরে রাখতে পারি না, মিত্রাও তেমন চলকে ওঠা বাধভাঙা অরগ্যাসম চেপে রাখতে পারেনি !
ওর প্রেমিকার সুন্দর মুখ ভিজে গেছিল ওর নারী রসে.
তলপেট অসহ্য সুখে মুচড়িয়ে উঠেছিল,
হাত খামছে ধরেছিল বিছানার চাদর.
উপমহাদেশটা আগে থেকেই ছিল, কলম্বাস নতূন করে আবিষ্কার করেছিল আমেরিকা.
প্রথম যৌন সুখের অনুভুতিটাও সেরকম !
চেনা শরীর কথা বলে ওঠে অচেনা অজানা শব্দে. সেই নতুন দেশের মাটির গন্ধ, আর কুমারি তপ্ত যোনির প্রথম স্বাদ, সমতুল্ল.
মিত্রা’র দুপায়ের মাঝখান থেকে মুখ তুলে, হাতের উলটো পিঠ দিয়ে ঠোঁট মুছলো মালীনি.
চোখে দুষ্টুমির হাসি. ওর মুখে লেগে রয়েছে ভেজা পাঁচিলে শেওলার মতো মিত্রার আঁশটে নোনতা অরগ্যাসম.
ওই এঁঠো ঠোঁটে ঠোঁট রেখেই মিত্রাকে চুমু খেল মালীনি !
নিজের যোনির স্বাদ গন্ধ স্পর্শ করল মিত্রাকে.
শুয়ে জড়াজড়ি করে খুনসুটি করতে লাগল দুজনে.
নোঙরা কথা, বাজে কথা. খিল খিল করে হাসি… পৃথিবীর সব থেকে সাহসি আরে স্বাধীন প্রাণী ওরা এখন !
ওরা কলম্বাসের টুপি পরে যৌনতার সাগরে নেমেছে. আবিষ্কারের নেশায় চোখে  টলমল করছে আনন্দের দ্যুতি.
ওদের জাহাজের দিকে কেউ আইসবার্গ ভাসিয়ে দেওয়ার আগে নিজেকে প্রশ্ন করো,
সঠিক আর বেঠিক এর ব্যাকারণটা কারা লিখে গেছে ?
সেটা কি অন্যের আকর্ষন আর ভালবাসা মেপে দেওয়ার জন্য !?
ধর্ম, সমকামিতা আর জাতপাত কে পিছনে রেখে সবার ভালবাসা আর আকর্ষনের জাহাজ এগিয়ে যাক.
ওরা দুজনে চুমু খাচ্ছে, হাসছে.
আঙুল বারবার চলে যাচ্ছে একে অপরের যোনিতে.
মিত্রা একটু উদাস হয়ে বললো – এরপর কি হবে আমাদের ?
মালীনি একটু ভেবে বললো – জানি না. বেশি ভাবতে চাই না. শুধু এইটুকু জানি আজ তোর আর আমার মধ্যে সব রঙের সম্পর্ক তৈরি হল…. কিন্তু আপাতত…
– আপাতত কি ? – মিত্রা চোখ তুলে চাইল.
– আদরের প্রতিদান. –
মালীনি আবার দুষ্টুমি করে  হাসলো – এইমাত্র আমি তোকে যেটা দিলাম, আমারও চাই সেটা.
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।