(এই লেখায় সমকাম যৌনতার দৃশ্য রয়েছে. সংবেদনশীল পাঠকেরা দূরে থাকবেন)
শুরু হয়েছিল নীরব দৃষ্টি বিনিময় দিয়ে.
কোনো কথা হয়নি, শুধু চোখের চাহনি মেপে নেওয়া. ছোট ছোট পায়ে ভালোলাগার পথ চলা শুরু.
এক গোছা রজনীগন্ধার মধ্যে একটি লাল গোলাপের অনুভুতি.
কিছু কথা আছে যাদের শব্দের আকারে ঠোঁটের বারান্দায় সাজাতে হয় না. রোদের মতো অবলীলায় তারা নি:শব্দে গা এলিয়ে শুয়ে থাকে. শুধু তার ওম’টুকু গায়ে মেখে নেওয়ার অপেক্ষা.
ফার্স্ট ইয়ারে পড়া দুই বান্ধবী, নিজেদের সম্পর্ককে গাছ আর পাখির মতো তৈরি করেছিল.
কখনও মিত্রা ওর নিজের সবুজের মধ্যে আশ্রয় দিত মালিনী কে.
কখনও খুব ঝর-বাদলের দিনে মিত্রা ভিজতে ভিজতে মালিনীর বুকের বাসায় এসে ভেজা পালক মুছতো.
পুরুষ বা নারী শরীর নয়,
কখনও কখনও একটা শরীর আকৃষ্ট হয় আত্মার শরীর এর কাছে.
ওরা কেমিস্ট্রি’র নোট শেয়ার করবে বলে সেদিন এক হয়েছিল.
কিন্তু কে জানতো ওদের মধ্যের কেমিস্ট্রি টা সেদিন পাল্টে যেতে চলেছে ! প্রথম বারের জন্য.
পুরো বাড়িটা সেদিন গেছিল একটি বিয়ের নিমন্ত্রনে.
শুধু এই ঘরটি থেকে গেছিল পড়াশোনা জড়িয়ে.
…খাতা বই অন্তর্বাস ডেইরি-মিল্কের প্যাকেট মাটিতে ছড়িয়ে পরে থাকবে একটু পড়ে !
মোবাইল সাইলেন্টে রেখে যৌনতা খাওয়ার শব্দে ঘর মুখরিত হয়ে উঠবে.
কে জানত প্রিয় বান্ধবির সব সুতো খুলে নিয়ে নতুন চাদর বুনবে মালীনি, কামনার রং দিয়ে !
মিত্রা’র সমস্ত লজ্জা, সংকচ আর বাঁধা দেওয়া গুলোকে মালীনি মোকাবিলা করেছিল নরম ঠোঁটের চুমু দিয়ে.
বয়ফ্রেন্ডের কথা উঠতে প্রথম চুমু পড়ল.
– তুই তো সিংগেল, বয়ফ্রেন্ড তো আমার আছে, তোর এত চিন্তা কিসের ?
নাকে নাক ঠেকিয়ে ওরা ঘনো করে চুমু খাচ্ছিল. গরম নি:শ্বাস জড়িয়ে আছে দুজনের, কোনটা কার আলাদা করার উপায় নেই.
দুজনের দুদু দুজনের সাথে লেপ্টে আছে.
হাত নামছে বিপদসীমার নীচে.
পেটের নাভী কেঁপে উঠছে উত্তেজনায়.
হাজার হাজার প্রজাপতি উড়ছে শিহরিত বাতাসে ডানা মেলে.
একটা সামান্য ছোট্টো প্যান্টি,
কখনও অন্তরায় হতে পারে না পূর্ণ নগ্ন যৌনতার দাবির সামনে !
যেটা কখন ভাবতেও পারেনি মিত্রা,
সেটাই হতে চলেছে !
মালীনি ওকে কানের কাছে মুখ এনে সতর্কবার্তা দিল – তোকে এখন এমন ভাবে খাবো আমি, তোর গুদ, যাতে তোর সমস্ত সুখ, হাঁটু মুড়ে প্রার্থনা করতে বসে আমার ঠোঁট জিভের বিগ্রহের সামনে.
( ২ )
… দুই বান্ধবীর এই শরীরি খেলা, আজকে গোপণীয়তার খামে মুড়ে রাখাই ভাল…
সমাজ হল একটা বুদ্ধিহীন আবেগহীন হিংস্র প্রানীর মতো !
তাকে পোষ মানাতে গেলে আক্রান্ত হবে,
তার সাথে যুদ্ধ ঘোষনা করলেও আক্রান্ত হবে !
বেঁধে দেওয়া নিয়ম সবার জন্য নয়.
তাই আমাদের কারোর কারোর তোশকের তলায় রাখা থাকে স্পর্শকাতর ডাইরি, যেটা একান্ত ভাবে আমাদের নিজস্ব.
মিত্রা আর মালীনি,
আজ ওদের ডাইরিতে লিখছে ওদের পারষ্পরিক যৌন উৎসব পালন করার কথা.
এই কথা বাইরে কারোর জানার দরকার নেই, কিভাবে মালীনি ওর বান্ধবীর যোনি চুষে চুষে অরগ্যাসম চেটে খেয়েছিল !
কিভাবে ও ক্লিটোরিস’টাকে জিভের ডগায় নাড়িয়ে মিত্রার শরীরে প্রতিটা কোষে শিহরন আর উন্মাদনা ঢুকিয়ে দিয়েছিল.
আমরা যেমন শত চেষ্টা করেও মুঠোর মধ্যে বালি চেপে ধরে রাখতে পারি না, মিত্রাও তেমন চলকে ওঠা বাধভাঙা অরগ্যাসম চেপে রাখতে পারেনি !
ওর প্রেমিকার সুন্দর মুখ ভিজে গেছিল ওর নারী রসে.
তলপেট অসহ্য সুখে মুচড়িয়ে উঠেছিল,
হাত খামছে ধরেছিল বিছানার চাদর.
উপমহাদেশটা আগে থেকেই ছিল, কলম্বাস নতূন করে আবিষ্কার করেছিল আমেরিকা.
প্রথম যৌন সুখের অনুভুতিটাও সেরকম !
চেনা শরীর কথা বলে ওঠে অচেনা অজানা শব্দে. সেই নতুন দেশের মাটির গন্ধ, আর কুমারি তপ্ত যোনির প্রথম স্বাদ, সমতুল্ল.