• Uncategorized
  • 0

গদ্য বোলো না -তে সোমা চট্টোপাধ্যায় রূপম

সেই ভালো

মাঝে মাঝে ইচ্ছে করে আকাশে পা রেখে মাটিটা একবার ছুঁয়ে দেখি।কেমন লাগে আকাশের গন্ধ মাখা সোঁদা মাটি টা। ঠিক তখনই একটা মাছরাঙা ছোঁ করে যায় লালচে পুকুরটা থেকে আর মাছটাও প্রায় খাবি খেতে খেতে লালা মাখা ঠোঁট দুটোর থেকে ঝরতে থাকে।একসময় এসে উপস্থিত হয় সেই ক্ষণস্থায়ী সন্ধিবিচ্ছেদ সময় আর মাছটা সাংসারিক মায়া কাটিয়ে অন্য সংসারের শান্তি বজায় রাখতে উদ্যত হয় মানে যাকে বলে ফুডচেন- খাদ্যশৃঙ্খল। শিকলে বাঁধা জীবন আর কি, ইয়ার্কি নয় কিন্তু। ইয়ার্কিটাও আবার ইয়ার্কি হয়ে যায় কেমন করে সেটা যদিও ছোটো কথাই তবুও বলে রাখা ভালো যে ওটা কম করাই ভালো কিন্তু মাঝে মাঝে লয় টা বজায় রেখে ভৈরবী থেকে বাগেশ্রীতে কুইট করাই যায় যেরকম ৭ সংখ্যাটা নিয়ে ইয়ার্কিটা করাই যেতে পারে। আপনি এক কথায় বলবেন রামধনু আর আমি বলব সাত সুর আবার কোনো একজন পথ চলতি আমাদের হাসি ঠাট্টা শুনে আপন মনেই বলে উঠবে “এটা কি সাত দেশের গল্প জুড়বার যায়গা পেয়েছো?” আমরা আপন মনেই হেসে উঠে তাকে প্রশ্ন করব “আচ্ছা আপনি ইস্কুল বেলায় সাতপাতা খেলেছেন কখনও?” – এভাবেই চলবে আমাদের নতুন বন্ধুত্ব কিংবা আরও পরিচিত হবার পর্যালোচনা যেমন বন্ধন গাঢ় হতেই থাকি হতেই থাকে সাত জন্ম ধরে।
আচ্ছা এমন হলে কেমন হয় যদি ধরো তুমি প্রেয়সির দিকে আলতো হেসে পুরাতনীর নাম ধরে মজা করেই তাকে ডাকো আর সে সর্বান্ত্যকরণে সমর্থন করে স্নেহচুম্বন এঁকে দেয় তোমার কপালে! আর বোকা বনে গিয়ে তুমি হারাতে গিয়ে হেরে বসে থাকো যেখানে পরাজিতরাই হাসে অন্তর থেকে!
বেশ হয়  তাই না!
ছোট কথার বড় ইয়ার্কি- আসলে সেই ভালো , সেই ভালো…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।