• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতামূলে রতন বসাক

১। চাষীর খুশী

ফসলগুলো পাকছে মাঠে
কেটে নিচ্ছে চাষী,
তাদের বেচে পাবে অর্থ
তাইতো মুখে হাসি ।
স্বপ্ন দেখে সবাই ঘরে
থাকবে আরো সুখে,
খুশী হয়েই গুন গুনিয়ে
গাইছে গান মুখে ।
কাস্তে গুজে কেউবা হাতে
সেলফি তুলে নেয়,
তার জন্য এঁকে বেঁকেই
নানান শট্ দেয় ।
কষ্ট করে খাটার পরে
পাচ্ছে তারা সুখ,
হয়তো আগে পরিবারের
মিটবে কিছু দুখ ।
চাষীরা যদি খুশী থাকেন
সেটাই হবে বেশ,
ধনী গরিব ভালো থাকলে
আগে বাড়বে দেশ ।

২। মনের থেকে

খারাপ কাজ – ছাড়বে আজ
এমন করো মন,
মুছলে কালো – হবেই ভালো
সেটাই বড় ধন ।
অতীতগুলো – একটু ভুলো
মনটা থেকে ভাই,
সামনে গিয়ে – সাহস নিয়ে
এগিয়ে থাকা চাই ।
মনের জোর – আনবে ভোর
পাবে অনেক সুখ,
হিংসা ফেলো – গলায় মেলো
জানো সবার দুখ ।
ক’দিন পরে – ফিরবে ঘরে
রাখবে এটা জেনে,
মনের থেকে – সামনে ডেকে
ধরবে বুকে টেনে ।
ভালো কর্ম – হলো ধর্ম
করেই চলো তুমি,
সবার সাথ – মিলিয়ে হাত
শক্ত করো ভূমি ।

৩। প্রেম দাও

আবার ফিরে এলো যে সেই দিন খানি
আজ ঐ বিশ্ব কবির জন্ম দিন জানি,
সকাল হতেই বাজে ঘরে ঘরে গান
রবীন্দ্র সঙ্গীত শুনে ভরে যায় প্রাণ ।
কবির লেখনী পড়ে মন থাকে ভালো
মুছে যায় সব জমা আছে যতো কালো,
ভালোবেসে কথাগুলো লিখে গেছো তুমি
তোমার ছোঁয়ায় হয়ে যায় পূণ্য ভূমি ।
সাহিত্যকে ভালোবেসে লেখা করো শুরু
তুমি হলে কবিদের মাঝে মহা গুরু ।
তোমার লেখা পড়লে নয়নে ভাসে ছবি
লেখালিখি করে তুমি হলে বিশ্ব কবি ।
আজ বিশ্বে সব জন প্রেম গেছে ভুলে
হিংসা করে মনে তাঁরা ঘৃণা রাখে তুলে,
দাও হে মহান কবি দাও ভরে ভাষা
দিতে পারে যেন মন থেকে ভালোবাসা ।
খারাপ সময় বয়ে চলে সারা ভবে
তোমার রচনা পড়ে জেগে যাক সবে,
বিশ্বের সবাই চেনে যার নাম রবি
প্রণাম জানাই শ্রদ্ধা ভরে প্রিয় কবি ।

৪। জেলে ভাই

নদীর পাড়ে নৌকা বেঁধে
জলে ফেলে জাল,
সত্যি বলি জেলের ঘরে
বড়ই খারাপ হাল ।
বড্ড কষ্টে জীবন কাটায়
আমার জেলে ভাই,
সারা সময় কাজটা করে
সুখের দেখা নাই ।
নৌকা বয়ে জালটা নিয়ে
নদীর উপর যায়,
মাছটা ধরে বেচলে পরে
তবেই খেতে পায় ।
কভু রোদের কভু ঝড়ের
সামনা করতে হয়,
বিপদগুলো কখন আসে
থাকে অনেক ভয় !
দুঃখ কষ্ট দেখলে পরে
চোখে আসে জল,
ওদের জন্য কিছু করি
সবাই মিলে চল ।

৫। কার জন্য কাব্য

কাব্য লেখা নয়তো সহজ
এটা জেনে রেখো,
আমি বলছি সময় পেলে
চেষ্টা করে দেখো ।
দাঁড়ি কমা ছন্দ মাত্রা
মনের ভাবনা লাগে,
এত কিছু ভাবতে গিয়ে
লেখার থেকে ভাগে ।
কষ্টে করে কবি লেখেন
কাব্য সবার জন্য,
পাঠক যদি পড়েন সেটা
তিনি হবেন ধন্য ।
যাদের জন্য লেখেন কবি
পড়েন নাতো তাঁরা,
দেখা গেছে পড়েন শুধুই
ভালো মানুষ যারা ।
পড়তো যদি সেইসব মানুষ
সেটা হতো ভালো,
সমাজ থেকে অনেক আগে
মুছে যেতো কালো ।

৬। পরযায়ী শ্রমিক

রাজ্য ছেড়ে চলছে হেঁটেই
মজদুরের ঐ দল,
ওদের দেখে কষ্টে আমার
চোখে আসে জল ।
সময় মতো ত্রাণের কিছু
পেতোই যদি সব,
থেকেই যেতো সেথা ওরা
করতো নাতো রব ।
ছেলে মেয়ে বউকে নিয়ে
যাচ্ছে নিজের ঘর,
লক ডাউনে কর্ম হীনায়
রাজ্যে তাঁরাই পর ।
বড়ো ঘরের সন্তানরা সব
পাচ্ছে তাঁরা ত্রাণ,
পরযায়ী মজদুরের আজ
ওষ্ঠাগত প্রাণ ।
ভোটের আগে নেতা এসে
দেখায় হেসে মুখ,
সময় এখন এসেই গেছে
কোথা বোঝে দুখ ?
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।