অক্ষয় কুমার সামন্ত। জন্ম পূর্ব মেদিনীপুর জেলার একটি গ্রাম সেলমাবাদে। বাবা - শ্রীকান্ত সামন্ত। মা - কল্পনা সামন্ত। শিক্ষকতার পাশাপাশি কবিতা তাঁর উত্তরণের সোপান।
প্রকাশিত বইঃ
বাংলা কবিতার বইঃ "একা আমি ঝড়ের সাথি"
ইংরেজী কবিতার যৌথ কাব্য সংকলন "Our United Voices"
অধিকার
দিনের আলোতে তোমরা এখনও ঘুমাচ্ছো?
কে যে কখন কার ডাকে জেগে উঠবে
সে প্রশ্ন রয়েই গেল!
অন্ধকারে তবু অনেককিছু লুকানো যায়
এ আলোয় এতো হতাশা ঢাকবো কোথায়!…
ও পাখি, তোমাকেই খুঁজছি
তুমি একটু সামনে এসো
রাত নামার আগে একটু আমার কথা শোনো
মানুষের ভাষা টিয়ার গ্যাস আর জলকামানের শব্দে
অনেক আগেই ডুবে গেছে
এবার তোমার ঠোঁটেই প্রতিবাদ ধরো
উড়তে বলছি না তোমাকে
একটা ডালেই বসে থাকো
দেখি, বিবেকহীন শাসক তোমার দিকেও
তীর তাক করে কিনা…
চেয়ার
ক্ষমতা নামের চেয়ারটা
কে প্রথম পৃথিবীতে এনেছিল?
আমি কিন্তু রোজ মাটিতে
আসন পেতে ভাত খাই
মা বেড়ে দেন
বাবা তো আরও বলেন,
সবাই একসাথে না বসলে
পেট ঠিক ভরে না।
তাহলে চেয়ারটা একটু উঁচু বলেই কি
সেখানে এতো দম্ভ-অহংকার?
মনে রাখা দরকারঃ
চেয়ারে কিন্তু কেউ আসন পাতে না…
কোটা
শাসক যখন শুধু ক্ষমতাই চায়
তখন ঘাস মাটি রোদ্দুরের কথা ভুলে যায়
আর পাহাড় আকাশের নতুন নতুন গল্প শুনিয়ে শুনিয়ে সভ্যতার দেওয়ালে বানাতে থাকে জানলা
আর মাপতে থাকে কতটা হাওয়া দিলে
সবাইকে ঘুমিয়ে রাখা যাবে…
যারা ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেল
দরজা ভেঙ্গে দলে দলে রাস্তায় নামলো
তাদের চোখে সমাধানের চশমা পরিয়ে
ভাঙ্গা হলো আন্দোলন
শুধুমাত্র সামনের কয়েকজনকে
চুপিসারে ডেকে নেয়া হলো
আর তাদের হাতে ধরিয়ে দেয়া হল
একটি করে চিঠি, যাতে লেখাঃ
‘বেশি কথা বলো না
বেশি পথ হেঁটো না
তোমাদের জন্য রেখেছি তো
গোপনে দুর্নীতির কোটা’।