• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় অরূপরতন হালদার

১.

অসিদ্ধ গোলাপের আতর মুছে নেয় গাল
কপালে নেমেছে চাঁদের কুসুম, রক্তবর্ণ ঘাট
সিঁড়িগুলো পেছল, হে চন্দ্রাবলী
তোমার ভবিতব্য নিশুতি মায়ায় ওড়ে
আমের মুকুল এ বৈশাখে ততটা অন্তরঙ্গ নয়
যেমন ছিল সেবার
শ্বাসের ভেতরে তাদের চলাফেরা
তোমার জঙ্ঘায় তারা পেয়েছিল ফলনের ইশারা
ঘাম…ঘাম…ঘামের উদগ্র বাসনায়
যেভাবে উষ্ণীষ ভিজে যায়
সেমত তোমার ঠোঁট চেপে বসে পাঁজরে আমার
খিদের বসত ফিরে আসে কুহক-সমান
অবরুদ্ধ ফুটপাথে বাসা বদল হয়
ভেনেসিয়ান ব্লাইন্ড অস্পষ্ট নড়ে
দেখে নিশ্চুপ বেড়ালের গতি কিভাবে ছিঁড়ে ফেলে
সুসমাচারগুলোকে

২.

ক্রমে অতি ক্ষীণ বাতাসের ভেতর
তোমার মুখ ফিরে আসে যেন সিন্ধুসারসের ঘোর
বিষণ্ণ পরিযান ভাসে দূর কুয়াশায়
মাতৃভাব থাকে যে নদীজলে
তার হৃদয়ের সংক্ষিপ্ত প্রকাশ ঘটেনা আর
শুধু এক অশ্রুর বিনির্মাণ ঘটে নতুন শূন্যতায়
চিত্রিত কাচগুলো জগতের ভেতর
যে গূঢ় রঙ মন্থন করে তার আস্বাদ চেয়েছ তুমি
চেয়েছ সেইসব সমারোহ
যারা বিপরীতমুদ্রায় ধারণ করেছে পতন
মাটি শমিত আজ
দিনান্তে তোমার কোল ভরে ওঠে যে গৃহে
সেইখানে অলক্ষ্যে ঢুকে পড়ে এক পাগল
সুর্যও স্বাদ নেয় তার
অনতিদূরে পড়ে থাকে শিশিরের শব
দিনের মায়া ক্রমশ রক্তিম তখন
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।