• Uncategorized
  • 0

গুচ্ছকবিতায় লিপি সেনগুপ্ত

সাত-কাহন

বিস্কোরণ হবে জেনেও ছুঁলাম
তুমি ফুল
সংগোপনে আমি ধ্বংস!
” নীরবতা কথার বীজ ” বলেছ
তিন রাত পরে।
গাছ হতে চাই জন্মান্তরে
তুমিও কি তাই?

চলেই যাব ভেবে ধীর পায়ে এগিয়েছি—
একটা বনফুল মুখ বাড়িয়ে বলেছিল,
না গেলেই নয়! তুমি ফিরে যাও….
ওকেই সযত্নে ঘরে এনেছি
প্রতিদিন বসি।মুখোমুখি —
মুঠিতে সৃষ্টির চাবিকাঠি
আর বুকে বনফুলের সুবাস!
দিন কাটে!

তোমার বৃত্তে তীরের মত
ঢুকে পড়েছিলাম!
ক্ষতি ও ক্ষত !
দু’ই আমারই !
তাই হিসেব বহির্ভূত যা কিছু
সবই উদ্বৃত্ত।

কিছু কিছু কথা বাসি ফুলের মত
মুঠো ভরে ফেলে দিলে
হাতে গন্ধ লেগে থাকে!

জঙ্গলে ঢেউ উঠলে বুঝি ডাক আসছে!
যাইনি শুধু তোমার কথা ভেবে!
পাতার ডাকে ,পাখির ডাকে,রাতের ডাকেও
মাথা তুলিনি
জঙ্গলের ঢেউ সম্মোহণ জানে।
যদি সেইখানে, সেই টানে হারিয়ে যাই
কোনদিন আর ফিরে না আসি!
তুমি যদি আমাকে হন্যে হয়ে খোঁজো!
আমি কোনদিকে যাব বলো?
একদিকে বন্যা অন্যদিকে দুর্ভিক্ষ!

প্রবেশের মুখে দরজায়
মস্ত তালা
অতিথি এসেছিল
সাক্ষী
নীরব তালাটি !
“তালাটি অক্ষত”
লিখে রাখা
ছেঁড়া চিরকুটে!
এটুকুই
জানানোর ছিল!

না! ভাঙেনি কিছু
সত্যিই কি ভাঙা যায়?
জুড়ে থাকে, ভীষণ ভাবে জুড়তে থাকে
সবটুকু—
এটাই বিস্ময়!
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।