কলকাতার বাসিন্দা।
বইমেলা ২০১৯ এ দিবারাত্রির বিড়বিড় নামে একটি কাব্যগ্রন্থ বেরিয়েছে প্যাপিরাস প্রকাশনী থেকে। মূলতঃ কবিতালেখক। অল্পস্বল্প গল্প ও প্রবন্ধ লেখার ও ঝোঁক আছে।
সোনার খোঁজে আমি
ঝরনাতলে থামি;
বৃষ্টি ঝরে যায়
টাপুরটুপ।
টাঁড়জমিতে হাত
বুলোই দিনরাত,
হয়তো আগুনের
ভাবনা পাই।
এমন একা থাকা
নিজেকে ঘিরে রাখা –
বেনামী স্বপ্নের
ঘরজামাই।
নগ্ন হয়ে থাকি
জলের গায়ে আঁকি
তোমার আলপনা,
অসাক্ষাৎ!
জীবন নড়বড়ে,
এখনো ঝরে পড়ে
তোমার কোল জুড়ে
বজ্রপাত।
আমি আগন্তুক
অঙ্গ জুড়ে ভুখ,
তাই তো পাতা হলো
অজিনাসন।
আবার,হে আষাঢ়
জাগাও বারিধার,
ডুবিয়ে দাও এই
কবির মন।
হুল
একটা লাঠি চাই। হেতালের ডাল।
দৃঢ়।
সেই লাঠি দিয়ে সব ভেঙে ফেলবো।
গুঁড়িয়ে ফেলবো
ওই সাম্রাজ্য মিথ্যের
নষ্ট করে দেবো সভ্যতার কারবার,
আমার চেহারা দেখে সবাই পালাবে,
লুকিয়ে পড়বে গর্তের ভেতর।
উলগুলান উলগুলান –
হিংস্রতার কিই বা দেখেছো !
এখন বর্বরের খেলা হবে শুরু।
ডাইনে বাঁয়ে যাকে পারবো
যা পারবো,
নষ্ট করে, থেঁতো করে দিয়ে
ফাঁকা জমিতে চাষ করবো
আদিমের।
তারপর আমার ঘামে ভেজা জামাটা
খুলে ফেলে,
ওই ডালে জড়িয়ে
নদীর কাদামাটিতে গেঁথে দিয়ে
আমি অরণ্যে তলিয়ে যাবে।
লোকে দেখবে, আর বলবে
ওইখানে
ওই যে ওইখানে
বাঘে একটা মানুষ খেয়েছে!
আজ কাল
আজকের দিন থাক রৌদ্রের জন্য ।
কালকে মেঘের দিন হোক।
আজকে কাজের শিফট এইমাত্র শেষ।
কালকে আবার আমি পাথর ভাঙবো
এই সভ্যতার বেপথু প্রান্তরে।
ততক্ষন ছুটি৷
বুকের ভেতরে আজ সকাল থেকেই
ঠান্ডা চোরাস্রোত হাওয়া খড়কুটো দিয়ে তৈরি কিছু ঘরবাড়ি
ভেঙে গুঁড়িয়ে দিচ্ছে।
আজ তাই ধ্বংসের দিন।
কাল আবার ভালোবাসার মকবরা হোক।
আমরা তো এখানে রয়েছি,
দুচারদিনের ছুটিতে।
বটফল সোনালী হওয়ার আগেই,
চলে যেতে হবে।
এরই মধ্যে রামধনু ওঠে,
গলাতে উচ্চাকাঙ্খা বাসা বাঁধে,
জ্বালাতন করে মারে প্রেম অপ্রেম
বুভুক্ষু রাতগুলির স্বীকারোক্তি কানে নিয়ে
পাতালের দিকে আমাদের যাত্রাপথ
উন্মাদনার শব্দে ভরে থাকে,
ভরে ভরে থাকে।
এরই মধ্যে
নির্জন সুগন্ধী ঢেউটিকে
পায়ের পাতায় তুলে নিতে আকাঙখা জাগে।
তাই,
আজ হাঁটবার দিন। কালকে নিঃসঙ্গতা হোক।