কাঙ্ক্ষিত ভবিষ্যতের আশায় নিশ্চয়তার কুসুমাস্তীর্ণ পথকে কখনও ত্যাগ ক’রে অনিশ্চয়তার কন্টকাকীর্ণ পথে নামতে হয়। চরম সিদ্ধান্ত নিতে গেলেও বুঝতে হয় যে সেভাবে খুঁজলে ছেড়ে যাওয়ার অসংখ্য কারণ আছে, কিন্তু থেকে যাওয়ার ঐ একটিই। “থাকবো”।
ভালোবাসা থেকে দায়িত্ব আসে। দায়িত্ব থেকে জেগে ওঠে অধিকারবোধ। সেই বোধ বড়ো বিষম বস্তু। অতিরিক্ত শুভানুধ্যায়ী ব্যক্তিত্বও তখন অশুভ সংকেতের দৌত্য ক’রতে আসে। ভুল বুঝে কেঁদে ওঠে মানুষ। ভাবে, “হায় হায় এতোদিনেও কি কিছুই চিনতে পারিনি? “।
একই চিত্র ফুটে ওঠে বিপরীত মননেও। বিপরীতমুখী অজান্তে কখন বিপক্ষ হ’য়ে যায়। আসলে আমরা নিজেকেই চিনতে পারিনি। কখনও পারিনা। অবচেতনে প্রতিটি মানুষই তো বিশ্বাস করে যে নিজের ভালো তো পাগলেও বোঝে, পরের জন্য দুশ্চিন্তা কেবলই বিলাসিতা। দুঃখবিলাস।
শুধু বোঝেনা যে ঘোষিতভাবে উন্মাদ হোক বা না হোক, দিনের শেষে কেউই শতকরা একশোভাগ সুস্থ নয়। নিরপেক্ষতা আসলে পাহাড়ের ঠিক চূড়ায় দাঁড়িয়ে থাকা বিশালাকায় নুড়িটির মতো যে কিনা সামান্য কম্পনেই যেকোনো একদিকে গ’ড়িয়ে যাবে। আহা সে যদি সমতল পেতো।
নিশ্চিন্ত সমতল খুঁজতে গিয়ে পাশে তাকায় মানুষ। দেখে একটি নয়, পাশাপাশি দাঁড়িয়ে আছে দুটি উদ্ধত পাহাড়। মাঝখানে সে নিজে ছায়ায় দাঁড়িয়ে আছে ঠিকই, কিন্তু আকাশ ছোঁয়া হয়না আর। চিরকাল তা অধরাই থাকে। কে জানে কখন পা’ও ভিজিয়ে দেয় বালিকার মতো চঞ্চলা এক স্রোত?
পাথরের মতো নিরপেক্ষতা, নিরপেক্ষ এক মানুষ, সকলেই এক উপত্যকায় বিশ্রাম নিতে আসে…