চাকরির প্রতিশ্রুতি পূরণ হয়নি, স্মৃতিই সম্বল শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের পরিবারের
বাড়িতে তাড়াতাড়িই আসবেন বলেছিলেন। কথা রেখেছিলেন। নদিয়ার পলাশিপাড়ার হাঁসপুকুরিয়ার বাড়িতে তিনি এসেছিলেন তবে কফিনবন্দি হয়ে। শহিদ সুদীপ বিশ্বাস – এক বছর আগে আজকের দিনে পুলওয়ামায় ফিদাঁয়ে হামলার অন্যতম শহিদ। সেই সময় সারা দেশ ফুঁসে উঠেছিল ক্ষোভে, ঘৃণায়।
বালাকোটে বায়ুসেনার হামলার পরে কিছুটা স্বস্তি পেয়েছিল আমাদের দেশ । হয়তো শান্তি পেয়েছিল সুদীপএর আত্মাও। তবে এই বদলা প্রলেপ দিতে পারেনি শহিদ সুদীপের মা মমতা বিশ্বাসের কান্না । এক বছর ধরে প্রত্যেক দিন, প্রত্যেক রাতে তার বুক ফাটাফাটি কেঁদেছেন ছেলের জন্য।
ছেলের স্মৃতিকেই বুকে আঁকড়ে বেঁচে আছেন মমতা বিশ্বাস। তাঁর বুকের ভিতরে এখনও বেঁচে আছে দগদগে ক্ষত । এক বছর পরে আজ শহিদদের স্মরণ করা হচ্ছে , স্মরণ করছে শ্রদ্ধার সঙ্গে। বাড়ি, পাড়া ও ক্লাবে আবক্ষ মূর্তি বসানো হচ্ছে শহিদ সুদীপ বিশ্বাসের। পুত্রহারা মাকে সান্তনা দেওয়ার পক্ষে তা মোটেই যথেষ্ট নয়।