• Uncategorized
  • 0

চিত্রপটে প্রতীক ও প্রকৃতি

১৯৬৭ সালে তিনি আর্ট কলেজ যান । তিনি মায়ের অনুমতিতেই আর্ট কলেজে ভর্তি হন । গ্রাম থেকে আসা একজন যুবকের জন্য রাজধানী ঢাকা নতুন শহর । তরুণ মনের রাজনৈতিক ভাবনায় আন্দোলিত হয়ে কিছুদিন মাথায় লাল ঝাণ্ডা নিয়ে পার্টি করলেও খুব কম সময়ের মধ্যে রাজনীতির মায়া ছেড়ে শিল্প চর্চায় যোগদান করেন। একটি শিল্পশিক্ষার প্রতিষ্ঠানের শিক্ষাপদ্ধতি ও শিক্ষা ব্যবস্থা প্রধানত ব্যবহারিক, মাধ্যমিকের তাত্ত্বিক পঠন পাঠন থেকে সম্পূর্ণ আলাদা। পরবর্তী ডিগ্রী গ্রহণের ক্ষেত্রেও এমন কি অন্যান্য ব্যবহারিক বিষয় (বিজ্ঞানের কোনো বিষয়, মেডিকেল, থেকেও আলাদা। কারণ অন্যান্য বিষয়ের যে রকম নির্দিষ্ট ব্যবহার উপযোগিতা রয়েছে, শিল্পকলা তথা চিত্রকলা সেরকম না। বরং স্থান ও কালের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে নিজের সৃষ্টিশীলতাকে পঠিত কলাকৌশলের মাধ্যমে প্রকাশ করতে হয়, যা শিল্পীর নিজস্ব শিল্পদর্শনকে ধারণ করবে এবং একই সঙ্গে শিল্পীকে নিজস্ব পরিচয়ে চেনাবে। তাই প্রতিষ্ঠানে শিল্পশিক্ষার একাডেমিক পদ্ধতিতে শিল্পশিক্ষার পাঠ গ্রহণ করতে করতে একজন শিল্পশিক্ষার্থীকে যেমন তার স্থান, কাল ও সময়কে নিজ অভিজ্ঞতায় ধারণ করতে হয়, তেমনি ক্রমে এক অদৃশ্য দর্শক শ্রেণির সঙ্গে পরিচিত হতে হয়। যা পরবর্তীতে তাঁর পুরো শিল্প জীবনের অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করে। সঙ্গে সঙ্গে একটি নিজস্ব শিল্পভাষার আবিষ্কারও একজন শিল্পীর প্রধান ভাবনার বিষয় হয়ে উঠে।
হাসি চক্রবর্তী যখন ঢাকা আর্ট কলেজে পাঠ গ্রহণ করতে এলেন সেইসময় চিত্রকলায় সিনিয়র শিল্পীদের দুটি শক্তিশালী ধারা অব্যাহত ছিল । প্রথম ও প্রধান ধারার শিল্পীরা তাঁদের শিল্পচিন্তা প্রকাশে বিষয়বস্তুকে বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন। এই ধারার প্রধান শিল্পী শিল্পাচার্য রীতির বিকাশ ঘটেছিল। পরবর্তীতে তাঁদের ছাত্রদের একটি মেধাবী দল সরাসরি পাশ্চাত্য শিল্পকলার সাহচর্যে এসেছিলেন। তাঁদের সাহচর্যে ধরে এদেশের চিত্রকলায় ফুটে উঠেছে পাশ্চাত্যধর্মী শৈলীর রীতিনীতি।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।