অফিসে এসে বিতান অনেকবার চেষ্টা করেছে ওর বসের সঙ্গে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করার,কিন্তু সুযোগ হয়নি।যে কোন সমস্যা ওর বস ঠিক ম্যানেজ করে দেন সেটা অফিসিয়াল অথবা ব্যক্তিগত যাই হোক না কেন। বিকেলে কফি-ব্রেকে বিতান সটান বসের ঘরে ঢুকে পড়ে।
–কি ব্যাপার বিতান সকাল থেকেই তোমাকে খুব টেনসড দেখাচ্ছে। এনি প্রবলেম?
— না মানে শ্রীলংকা ট্রিপটা তো এগিয়ে আসছে,এদিকে মায়ের শরীরটা ভালো যাচ্ছে না।গত সপ্তাহে দুবার ব্ল্যাকাউট হয়ে গিয়েছিল।
–স্ট্রেনজ!তুমি আগে জানাওনি তো।ডাক্তার কি বলছেন!টেস্ট রিপোর্ট সব ঠিক আছ তো?
–ইসকেমিক হার্ট।ডাক্তার বলছেন এই বয়সে এরকম হয়।তবে মাকে একা রাখা যাবে না।সারাদিনের জন্য এক ভদ্রমহিলা আছেন। উনি দেখভাল করছেন বটে, তবে আমাদের অ্যাবসেন্সে উনি মায়ের দায়িত্ব নিতে চাইছেন না।
–বেশ তো যাওয়ার ক’দিন আগে মাকে ভাইয়ের বাড়িতে শিফট করে দাও না।
–হবে না বস।রিসেন্টলি ওর মিসেসের মিসক্যারেজ হয়েছে।
–তাহলে তো প্রবলেম। এনিওয়ে আমি একটা আইডিয়া দিতে পারি।বেড়াতে যাবার আগে মাকে নার্সিংহোমে অ্যাডমিট করে দাও।কয়েকদিনের তো ব্যাপার, ভাইকে জাস্ট একটু খোঁজখবর নিতে বলবে।
বিতানের ফোনটা সাইলেন্ট মোডে ছিল।চারটে মিসড কল শো করছে।বিতান বাইরে বেরিয়ে আসে।কল লিস্ট সার্চ করতে করতে পৌঁছে যায় স্মোকিং জোনে।প্রথম দুটো আন-নোন নাম্বার পরের দুটো ওর মিসেস ঝিলিকের।মায়ের কিছু হয়নি তো!উদ্বিগ্ন হয়ে ওঠে বিতান।ঝিলিককে কল ব্যাক করে বিতান।লিঙ্ক পাওয়া যাচ্ছে না।বেশ কয়েকবার কল করার পর যান্ত্রিক স্বর ভেসে আসে –‘ডায়ালাড নাম্বার নট রিচেবল’।