গদ্য কবিতায় দীপাঞ্জন দাস
এক টুকরো বন্ধুত্ব…
ঘুমের মধ্যে জেগে উঠেছে জীবন। যতগুলো পাখি আকাশে উড়ে বেড়াতে সক্ষম, তাদের ধরে বেঁধে স্কুলে পাঠাতে চাওয়া মুর্খামি মাত্র। যাদের কপালে রাজতিলক আঁকা আছে, আমি তাদের পূজারীই থাকতে চাই চিরদিন। কাপপ্লেটের প্রতি আমার একরাশ বিরক্তি, মাটির ভাঁড়ে একাকীত্ব। রাস্তার প্রতিটি গাছপালা, পোকামাকড় লেন্সবন্দী হতে চাই খুব সকালে। একটু একটু করে সূর্য উঠলে সব মিলিয়ে যায়। আমি হেঁটে চলি হাসিমুখে, এগিয়ে দেয়না সুখটান এর হাতছানি। আমি ওদের মধ্যে নিজেদের খুঁজে বেড়াই। দিন পেরিয়ে এখন মাস পেরোবে, জোরাজুরির নৌকো বাঁধা থাকবে নদীর ওপারে। ভুল ঠিক জানি না, তবুও এটাই জীবন। রক্তই কখনও বন্ধুত্ব মাপতে পারেনি। তাই হাসতে হাসতে কয়েকটা খুন করে ফেলা যায় আজও। আজও দুজনে বসে কূটনৈতিক নীতি নির্ধারণ হয় ব্যক্তিকেন্দ্রিক ভাবনার স্তরে। তবে এই সময়গুলোতেই চিকেন নিয়ে খুব কাড়াকাড়ি করতে ইচ্ছে করে, ইচ্ছে করে পিৎজা ভাগাভাগি করে খেতে। আসলে এখনও একা একটা এগরোল খাওয়ার অভ্যাস গড়ে ওঠেনি…