• Uncategorized
  • 0

সাপ্তাহিক ধারাবাহিকা -তে পলাশ চৌধুরী (পর্ব – ৪)

স্টেজের পাশেই স্বয়ংসিদ্ধা

চতুর্থ পর্ব

কী যেন একটা লিখতে চাইছিলাম সকাল থেকে! ভাবতে গিয়েই চোখ আটকে গেল রোমান বৌদির মেগাড্রিল পংক্তিতে; বিকেল তাই নইলে সূর্য ওঠার এই তো সময়, বেশ নিভে আসতে আসতে দপ করে জ্বলে উঠবে আবার। আমি মানুষ খুঁজে লেখা টেনে বের করি অথচ এদের কাছে লেখার মতো অজস্র লাইন। অজানা অজ্ঞান হয়ে সামনে দাঁড়ায়। অল্প প্রেমে আমি কবেও বিশ্বাসী যোদ্ধা নই সেকথা বৌদি বেশ ভাল মতনই জানে। কিছু না হোক কথাটা বলেইছিল আমাকে শোনাতে। ম্যাজিক ফিগার ছাড়া যেসব তৃষ্ণার তৃপ্তি আসে না, তাদের কাছে এরকম আটেপা নালিশ নালায় গিয়ে বিস্ফোরণ ঘটায়। এসব শুনতে ভাবতে গিয়ে কখন সূর্য নিভেছে বুঝতেই পারিনি।
বাইরের থেকে একটা ডাক এল, নিহার, ও নিহার বাড়ি আছিস? ত্রিপুরা কাকা ডাকছে। এককথায় এ তল্লাটের দুঁদে গুপ্তচর। যদিও গুপ্তধন মেলেনি এখনো তবুও চেষ্টা করতে দোষ নেই ভেবে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। অতঃপর ডাকে অতিষ্ঠ হয়ে আমি বেরিয়ে গেলাম। গল্পের শুরু, জানিস নিহার যা দেখছি সমাজের তেরোটা বেজে গিয়েছে। অকস্মাৎ এরকম একটি কথায় বিরক্তির আগ্রহ পেল আমার। কাকা বলে চলল, পাড়ার ছেলেমেয়েরা কী বেয়াদব উল্কাপিণ্ড হয়েছে। লজ্জা শরম সব গেছে। এসব শুনতে শুনতে আমার রোমান বৌদির মুখটা চোখের সামনে ভেসে উঠলো। আমি সামনে এলেই চৌম্বকীয় সূত্র মেনে তার শাড়ির আঁচল সরে যায়, মুখের কোণে মুচকি হাসি, অগোছালো শিহরণ।
আসলে সমাজ কবেও ভাল ছিল না। প্রবৃত্তি যেভাবে তাড়া দেয় আমরা ছুটি। সম্মান চাড়া দিলে আমার মতো অনেকেই মুখ লুকায়। আগ্রহ আর অনাগ্রহের মাঝে যে গ্রহটি গ্রহণ লাগায় সেটিই আমি ও তুমির বিন্যাস, যেখানে ভাল শব্দটি বেয়াক্কেলে বকবাস।

(চলবে)

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।