আমাদের প্রত্যেকের মনের মধ্যে একটা এক্সটারনাল ঈশ্বর আছে, ভাবনা। এই ভাবনায় ভাবিত ঈশ্বর আমাদের। বোধে ক্লিক করে ক্লিনচিট বেতাজ বাদসা বানিয়ে বসে তাকে। বাড়তি ঈশ্বর বলতে শুয়ে থাকা বেহাল অবস্থার মধ্যে একটা ইনটারনাল ধক, বুক বাজিয়ে বুকিং করে যেটা হরর ড্রাগন অপারেশন। ড্যাঙ ড্যাঙ করে বোধ হেজিয়ে সত্তাকে ব্ল্যাক এন্ড হোয়াইট ব্রেকফাস্ট বানিয়ে নেয়। ন্যায় ছুটছে আমরাও, বিজ্ঞাপন চিত্র পায়চারী করে মেহসামের দেহরেঁস্তোরায়।
তুঁতে ফ্লু সংক্রমিত ফিল্ম জড়িয়ে যখন আমরা দুঃখ কে অভ্যাস বানিয়ে ফেলি, আর চিন্তাকে বিনোদনের উপকরণ বানিয়ে কচলে চলি একঘেঁয়ে বৃষ্টিবিঘ্নিত স্যাঁতস্যাঁতে যাপন, তখনই আমাদের কন্ট্রোল করতে এগিয়ে আসে এই ঈশ্বর বা শুয়ে থাকা ঈশ্বর নামক একটা রোগ।
আসলে একটা ছবি দিতে হয় জীবনকে। আর সেটা ঈশ্বর বাঁচিয়ে হেজাক জ্বালানোর জালানি রূপে ব্যবহার করতে থাকি আমরা। ব্যবসা অন্য টাইপ হয়, এটা ঠিক ব্যবসা নয়, মনের ইনফ্লুয়েঞ্জা। যেটাকে যুগান্ত ধরে লিড করছে ব্রোকেন বোন ব্রোকারের দল। ম্যাসাচুসেটস ইনস্টিটিউট থেকে শুরু করে ডেমোক্রেটিক সিনেটর প্রত্যেকের মনের মধ্যে এটা স্টেথোর কাজ করে।
আসলে যে বোধ বোঝা হয় তার থেকে কালেকশন করতে সুবিধে হয় খুব। তাই এই সুড়সুড়ি জনিত এনসেফালাইটিস প্রত্যেকের মধ্যে এমন ভাবে গেঁথে দেওয়া হয়েছে যে হাত পাতলেই শোনা যায় বিলিয়ন। আমরা আর যা পারি কমিটির জাজককে অমান্য করতে পারি না। সেটা আস্তিক কমিটি হোক বা নাস্তিক কমিটি। যে যার মধ্যে এতটাই বুঁদ এর বাইরের খোকলা কোলাহল শুনতে পাই না আর। আসলে ফাঁপের আওয়াজ যতটা বেশি ততটাই কমন, তাই এটাকে এড়িয়ে যেতে সুবিধা হয় বেশি।
মোদ্দা কথাটি হল ব্যাঙ্গাত্মক যে হাসিটি তুমি অপরপক্ষকে দেখে হাসছ, তুমি তার থেকে বিন্দুমাত্র দূরে নও। অঙ্গের বৈচিত্র্য যতটা উপভোগ্য ভঙ্গের কোলাহল ততটিই তড়তাজা। জড়তা হীন যে যাপনটি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়, “কাল পেরিয়ে আজের প্রত্যাশা আর মহাকাল বোধ যা আমাদের গ্রাস করেছে সেটুকুই সমাজ। এই ধর্মবোধের বাইরে তুমিও নও আমিও নয়। যদি তুমি নিজেকে ভিন্ন ভাবো তবে তুমি নিজেও একটা গোষ্ঠী বা ওই ভিন্ন সম্প্রদায়ের অনুগামীর।”