তোর জন্য মাঝে মাঝেই এইভাবেই লিখে রাখব কিছু শব্দ, যে শব্দগুলো একসময় তোর কাছের হয়ে উঠবে এই আশায়..
সেদিন পরে গিয়ে কাঁদতে শুরু করেছিলি হঠাৎ, আমি কাছে আসতেই কেমন যেন গুটিয়ে ফেললি নিজেকে! চোখ মুছে ফেলে তোর তখন স্পাইডারম্যান অবতারের পুনরাগমন! আমার একটু অবাক হওয়া মুখের দিকে তাকিয়ে হেসে বললি, ‘আমি তো ছেলে,ছেলেদের কাঁদতে নেই’..
তোর মুখের এই একটা আপাত নিস্পাপ বাক্য আমার ভেতর একটা ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিল!!
পারবো না কী তবে?
যে লিঙ্গভেদ বোধকে জীবনে সবচেয়ে বেশি এড়িয়ে চলেছি, তোর ভেতরে আমার অজান্তেই ঢুকে পরছে সে!ধীরে ধীরে বাসা বাঁধবে তোর চেতনায়,মননে!
আমি “পুরুষ” এই ভাবনাটাই যে সবচেয়ে বিপজ্জনক, আমি “পুরুষ” তাই অনেককিছুতেই আমার জন্মগত এক্তিয়ার.. এটাই তো তোর চারপাশের সমাজ তোকে চোখে আঙ্গুল দিয়ে শিখিয়ে দেবে..
আর এখানেই আমি তোকে বারবার থামিয়ে দেবো..ঐ একটা বলে ফেলা বাক্যের পর তোকে আর এগোতে দেবো না। বারবার এইভাবেই থামাতে হবে তোকে, বারবার…
সমস্ত ভাবী পুরুষদের জন্মদাত্রীদের দায়-দায়িত্ব যে অনেকটা বেশি!!