নিকষ কালো অন্ধকার খাটে মাটিচাপা আছো, নিয়মিত দুঃখ চিন্তা করতে করতে অবশেষে নিশ্চিন্তপুরে।এভাবে চলে যাওয়া কি ঠিক হলো?
বৃদ্ধ বয়সে ভগ্ন মনে রোগক্লিষ্ট দেহ নিয়েও —- ওরা তোমাকে বাবা!! তবুও তুমি তাদের কাছে মাথা নত করনি।অবিচল ছিলে মুজিববাদে,রোগাক্রান্ত অস্থির,ফেরারি বুকের নাড়িছেঁড়াধনের ফেরার প্রতিক্ষায় মা।
জানো বাবা
আমাকে নিয়ে কতইনা স্বপ্নের উচ্চাশা ছিলো তোমার, কত স্বপ্ন বুনতে, সেই সব স্বপ্নরা নিমিষেই একটি মিথ্যা রটনা রটিয়ে অপমৃত্যু হলো।আচ্ছা তুমি না গ্রাম্য রাজনীতির মাতব্বরেরা আবার জাতিয় রাজনৈতিক দলের লাট্যাল বলতে।
আসলে এসব করে ওরা তোমাকে দুর্বল করে দিতে চেয়েছিলো।কিন্তু ওরা জানতো না তুমি ভেতরে ভেতরে চিন্তা অনাহারে কি পরিমাণ শক্তিহীন হয়ে পড়েছিলে তা তাদের বুঝতে দাওনি।
তাদের কি অত জ্ঞান গরিমা আছে তোমার মনস্তত্ব বুঝার।
অথচ তুমিই বোকার মতো তাদের বোকা বানাতে গিয়ে দুর্বল মস্তিষ্ক দুর্বল দেহ নিয়ে নিজেই চির রাজ্যের দেশে চলে গেলে।বোকা বাবা, তাদের কথা এক কানে শুনে আর এক কানে ফেলে দিতে।
আমি বুঝতে পারিনা তুমিই অবশেষে একটি মিথ্যা সংবাদ কে অনায়াসে বিশ্বাস করেফেল্লে।
তো কি হলো তোমার বউ মা’র হাতের বানানো গাড়ো করে কফি মিশ্রিত দুধ চা খাওয়া হলোনা।
শুনো ওরা তথাকথিত লেখা পড়া না করলে ও পাড়ায় স্টেশনে কোর্ট কাচারি বিভিন্ন জনসংযোগ সম্পন্ন এলাকায় হাজারো মানুষের সাথে গুন্ডামী, বাটপারি করতে করতে নিজেরাই এক একটা মনো ডাক্তার বনে গেছে।ওরা সংঘবদ্ধ। আর তোমারা বিচ্ছিন্ন বিক্ষিপ্ত। তোমরা মতাদর্শের তত্বলাইন খুঁজতে খুঁজতে এমন ভাবে ভাগ হয়েছো, এখন তোমাদের ঐতিহাসিক আদর্শ টাই হাসি-ঠাট্টার, উপহাসের পাত্র করে ফেলেছো।আর অন্যদিকে নিয়মিত শক্তিশালী ও সংঘবদ্ধ হতে লাগলো মুক্তিযুদ্ধ প্রতিক্রিয়াশীল মৌলবাদী গোষ্ঠী।
অ হো বাবা
তোমাকে আর একটা ইনফরমেশন দেয়া হয়নি। শুনো তোমাদের ব্রিটিশ পিরিয়ডের সময়ে ব্রিটিশরা পুলিশ পালন করতো। আর এখন নব্য শিল্পের ফড়িয়া পথিরা তাদের অপরাধ ঢাকা দিতে পুলিশের পাশাপাশি সাংবাদিক ও পালে। পালে স্থানীয় গুন্ডাপান্ডা সাথে রাজনৈতিক সমর্থন আদায়ের জন্য রাজনৈতিক দল গুলোর সহযোগিতা ও সমর্থন।
বিশ্বায়নের পুজির একচেটিয়া দৌরাত্ম ও প্রযুক্তির সহযোগে ওরা মানুষকে এমন ভাবে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ন্ত্রণ করছে তোমরা কোথায় কি করছে কোথা আছো কোথায় যাচ্ছো প্রযুক্তিই তাদের বলে দিচ্ছি।
তোমাদের লোকজন কে বিপ্লব সংগ্রামের বিকল্প পদ্ধতি আবিস্কার করতে বলো।
আজ এতোটুকু, পন্ডিত মনে করোনা বেশি লিখা হয়ে গেলো।