বইমেলা শেষ
দশমীর আবহে প্রথামাফিক ঘণ্টা বাজিয়ে তুমুল হর্ষধ্বনির মধ্যে দিয়ে শেষ হল ৪৪তম কলকাতা আন্তর্জাতিক বইমেলা। একদিকে টানা ১২ দিনের বইযের গন্ধমখা আনন্দযজ্ঞ সমাপনের বিষণ্ণতা, অন্যদিকে আগামী বছরে আবার বই-পার্বণ হওয়ার দূরাগত হাতছানি– দুয়ের টানাপোড়েনে দোদুল্যমান বইপ্রেমীদের হৃদয়-মন।
নাগরিকত্ব সংশোধিত আইন বিরোধিতার আঁচ ভালই পাওয়া গেল এবছরের বইমেলা প্রাঙ্গণে। দেশভক্তির নামে উগ্র জাতীয়তাবাদীপন্থীদের ভবিষ্যতে মেলায় স্টল দিতে দেওয়ার আগে একবার অন্তত ভাবা উচিত বইমেলা কর্তৃপক্ষের। তাঁদের মেরুদণ্ডের ঋজুতা প্রমাণের এ-ও এক পরীক্ষা।বই চুরি দিবস ও পালন করতে পারেন কতৃপক্ষ। গতকাল বইমেলা সাক্ষী থাকল বিশিষ্ট লেখক-সাংসদ শশী থারুরের উজ্জ্বল বাক্যালাপের। কলকাতা সাহিত্য উৎসবের মঞ্চে বক্তব্য রাখতে গিয়ে বারবার ঘুরে ফিরে আসছিল বহুত্বের স্বর-স্বীকৃতির প্রসঙ্গ। নোবেলজয়ী অর্থনীতিবিদ অমর্ত্য সেন তো বিজেপিকে ‘সংখ্যালঘুর নয় কুচিন্তার গুরু’ বলে চিহ্নিত করলেন।
শ্রেয়সী কাঞ্জিলাল