• Uncategorized
  • 0

বিশ্ব কবিতা দিবসে জয়ীতা ব্যানার্জী

বসন্ত ও বিষাদগুচ্ছ

(১)

হয়ত এমনই ফুরাবে সব
হয়ত এমনই কোনও পৌষের শ্রী-হীন
মাঠ থেকে জোনাকিরা সরে যাবে। কুয়াশায়
গিলে নেবে একেকটি জনপদ,গ্রাম
নিঝুম পাহাড়ে,ঢালে মুছে দেবে পথের হদিস-ও
শুধু বহুযুগ আগে যে নক্ষত্রটি শেষ জ্বলেছিল
তাঁর আলো এসে শুয়ে রবে টলটলে দীঘির চাদরে
তাঁকে শোনাবে বাতাস
এই অলীক যাপন আর দু’চারটি জল দাগ যারা
বসন্ত চিনবে বলে আজ-ও পলাশের বনে
ঘুরে ঘুরে আখর সাজায়

 

(২)

তোমাকে দিগন্তে রেখে পার করি এতটা দুপুর
কবিতা শেষের মুখে ঝড় নামে,জল তারপর
যেন বা জলের ঘুম। নিঝুম এ আমবন
তার পোয়াতিদশার কাছে
ঝরে পড়ে থাকে ফুল। নক্ষত্র আকাশে যেমন…
মুহূর্তে আলো হও,আলো ভেঙে ভেঙে যায়

 

(৩)

মনে হয় বোঝ না কীভাবে
দ্বিতীয়ার রাতচরা চাঁদ
দূর থেকে একা একা চলে আসা
মালগাড়িটির মতো
অনায়াস আকাশ পেরোয়
নিরলস পেঁচার মহিমা আমিও অল্প বুঝি। ঘুম পায়
জানালার ওপারে পথে বিশুদ্ধ মাতাল এক
কাকে যেন বারেবারে বার্তা পাঠান-
“শামকো ভুলা শাম কা ওয়াদা…
সঙ্গ দিয়ে কে জাগী রাধা…”
বৈরী সতিন হাওয়া উঠোনেতে পায়চারি করে

 

(৪)

চৈত্র কুলীন মাস,অপেক্ষাকে বলতে শুনেছি
সেজে ওঠা নেই তার
তেষ্টার ঘোরে ঘোরে কেটে যায় অসুখের দিন
“এইবেলা ভালো আছি । সেরে উঠবই, দেখে নিও”
না লেখা চিঠির পাশে আলো বলে ” সেরে উঠছি না ”
চিঠি লিখবার ছলে আলোকে সে জানায় এটুকু

চিঠি লিখবার ছলে প্রতিবার শোনায় নিজেকে

 

(৫)

নিকানো উঠোন।পাশে দুয়েকটি পলাশ ফুটেছে(ঝরেছে)
ভোররাতে খড়িমাটি,গাঁদাফুল একা একা ভিজছে যখন
মঙ্গলঘট ফেলে চলে গেছে স্নেহের কুকুরও
মাদল নীরব।বিদাই লগনে মাইয়া,মরদ আর শিশুদের
এলোমেলো কোলাহল শোনা যায় শুধু
এদিকে সেগুন বনে সারারাত জাগা। কবেকার
বাসি ইঁদুরের নাড়িভুঁড়ি ছড়িয়ে ছিটিয়ে ঘাসে
হাঁড়িয়া গিলেছে খুব। দিনে বুঝি আর জাগবে না
দেখবে না, তার বসন্ত বিদায়ে গেল
রাঙা পায়ে,সিঁদুরে, কুসুমে
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।