গোস্তাখি মাফ করবেন মির্জাসাব। ওই যে দূরে অন্ধকার গুলে এক করে বসে আছে যে। যার চোখের জলে মিশে গেছে কাজল। আজকের ধোঁয়া ওঠা ভাত যার নসীব হয়নি। ভাঙা জানলার কাচ ভেঙে পোড়া চাঁদ কি করে স্বপ্ন দেখাবে তাকে। পুরনো কথার আত্মা ভিড় করে আসে আজও তার মনে। ছাদের দেওয়াল ঘেঁষে যুগ যুগ ধরে পড়ে থাকে মেহেরুর প্রেম। ও একদিন লিখে রেখেছিল প্রেমিকের জবান। বত্তমিজ সেই পুরুষ অন্যের হাত ধরে এখন ইশকের বুলি আওরায়। আর ফেরি ঘাটে ছায়া কেটে অন্য কোনও প্রেমিকার কথা ভাবে।
গোস্তাখি মাফ করবেন আরও একবার। এভাবে ইশক এসে ছিঁড়ে দিয়ে গেছে সিনার কলিজা। সহ্য হয় না আর বে আব্রু নেশার নজর। বদনসিব হয়ে তার উজাড় করা ভালোবাসা নদী নিয়ে গেছে। খিলখিল করে হাসতে হাসতে সে বলে যায়, এই সব কিসসা জুড়ে আর কিছুদিন পর অন্য কেউ খেলা করবে। জওয়ানি হয়ে যাবে কাফের। আর মেহরু জিতে নেবে সহস্র এক গোলাপের শহর। যে শহরে রঙিন জানলার একটা অন্য গল্প আছে।
সে অন্ধকার গুলে রাখে রোজ। ফিরঙ্গি জানলার কাচে হাত রাখি আমি।