‘বিশ্বসাথে যোগে যেথায় বিহারো, সেইখানে যোগ তোমার সনে আমারো।’
মোবাইলে কথা বলি, বার্তা চালাচালি করি। আর আমার প্রণাম পৌঁছে যায় তাঁর পায়ে।
বেতার বিশ্বের তত্ত্বগত ভাবনার তিনি অন্যতম পথিকৃৎ। তিনি জগদীশচন্দ্র বসু।
আজ বিশ্ব বেতার দিবস।
ইউনেস্কো এই দিবস চালু করেছেন।
বেতার বললেই জগদীশচন্দ্র বসুর কথা মনে পড়ে । মনে পড়ে তাঁর হার না মানার কথা। মনে পড়ে রবীন্দ্রনাথের “পুনশ্চ” কাব্য গ্রন্থের “চির রূপের বাণী” কবিতার কথা। ‘আকাশবাণী’ নামকরণের কথা। আর বাঙালির বড় প্রিয় নেতা সুভাষচন্দ্রের বেতার ভাষণ : আমি সুভাষ বলছি।
আজ ইউনেস্কো প্রবর্তিত “বিশ্ব বেতার দিবস” সূত্রে
আমার মনে পড়ে গেল গুগলিয়েমো মার্কনি নামে ইতালীয় ভদ্রলোক ও কার্ল ফার্দিনান্দ ব্রাউন এই দুইজন রেডিও আবিষ্কারের সম্মান লাভ করেছিলেন। যদিও আগেই পরাধীন ভারতের বিজ্ঞানসাধক জগদীশচন্দ্র বসু বেতারের একটি যন্ত্রাংশ সহ কিছু তত্ত্বগত আবিষ্কার করেছিলেন। শুনেছি কিছুদিন আগে নাকি মার্কনি সাহেব এর নাতি কলকাতার একটি বিদ্বৎসভায় এসে বলে গিয়েছেন বেতার বিষয়ে জগদীশচন্দ্রের অবদান সমধিক। যথার্থ জানি না। তবু যদি এভাবেই বলে থাকেন তবে নাতি সাহেব ভদ্রতার উদাহরণ রেখেছেন বলব।