বুর্জোয়া বুলেটের সামনে কোনো লাইফলাইন থাকে না,থাকে না কোনো মানবাধিকার
ঊনিশ শো একষট্টির ঊনিশে মে
হে ধর্মাবতার,মাননীয় তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী
হে সিপাহশালার স্বাধীন ভারতের প্রধানমন্ত্রী
জলের মধ্যে মাছ কিংবা
গাছের মধ্যে পাখিদের অবিনশ্বর ওড়াওড়ি
আপনাদের ভালো লাগে না
ভালো লাগে না শিশুদের সৌন্দর্য
নারীদের ক্ষমা, বিপুল জনতার সমুদ্রডাক
জানি এদেশে মীরজাফর থাকবে
নরেন গোসাই বিভীষণ থাকবে
থাকবে অনুগত ক্রীতদাসদের
চাটুকারিতার অসংখ্য উদাহরণ….
একবার ও মনে পড়ল না
কমলা কিংবা সত্যেন্দ্রর মায়ের কথা
গুলি চালিয়ে ভাষার কন্ঠরোধ
করা যায় না এই অমোঘ সত্যটি বুঝতে পারলেন না, নাকি চাইলেন না ধর্মাবতার …
হে প্রণম্য শিলচর
হে অমিত সম্ভাব্য ভাষা শহীদদের দুর্জয় প্রতীজ্ঞা
তোমাদের অনন্ত লড়াইয়ের কাছে
আমার এই ক্ষণিক জাগরণ কিছু নয়, কিছু নয়…তাই পতাকাতলে এই আমি
মুখ নীচু করলাম
তোমাদের প্রার্থিত দুঃখ আমাদের ধ্যানমগ্ন
হতে শেখাক
ততোদিন পর্যন্ত অলিখিত পুনর্বাসন
এখন আমি অন্ধকার থেকে
আলোর টুকরো গুলি সযত্নে কুড়িয়ে রাখবো
যাতে প্রতিচিত্রে মিশে যায়
প্রাচীন রূপকথা…