মৃত্যুর কারন ‘টিকটক’!

চিত্রগ্রাহকঃ নিজাম আনসারি

পুরুলিয়ার ঘটনা:

মহম্মদ নুর হোসেন আনসারি,বয়স মাত্র ১৬।সে ফেসবুক করতো। তার ফেসবুক অ্যাকাউন্টের নাম ছিল আফত রফতার (Afat Raftaar)। ছেলেটা ভালো ক্রিকেট খেলতো।নুরের বাবা রফিক আনসারি পুরুলিয়া শহরেই একটি কাপড়ের দোকানে কাজ করেন। ২০১৯-এই মাধ্যমিক পরীক্ষা দিয়েছে পুরুলিয়ার মাদ্রাসা ইসলামিয়া হাইস্কুল থেকে। গত রবিবার ১৮/০৮/২০১৯ বিকেল চারটে নাগাদ চলন্ত ট্রেনের পাশে দাঁড়িয়ে ‘টিকটক’ ভিডিও তৈরি করতে মারা গেল বলে দাবি তার বন্ধুদের।
তার সঙ্গে ছিল সাদাব আলম ও কয়েকজন। এই সাদাবই ভিডিও করছিলো কারণ ওর মোবাইলে নাকি বেশি ভালো ভিডিও হয়।ট্রেনের আঘাতে নুর ছিটকে এসে পড়ে সাদবের গায়ে।সাদাবও চোট পায়।সে পুরুলিয়ার সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
পুরুলিয়া শহরের ১০ নং ওয়ার্ডের চুনাভাটি এলাকায় থাকতো নুর।মোবাইল ব্যবহারে ও তার নানানরকম কায়দায় সে বেশ পোক্ত ছিলো বলেই বন্ধুদের দাবি। টিকটক অ্যাপে সে ভিডিও তৈরি করে তার সঙ্গে গান জুড়ে তা পোস্ট করতো ফেসবুকে। যে রেললাইনে টিকটক শ্যুট করতে গিয়ে তার প্রাণ গেল গেল সে-রকম ভিডিও সে আগেও করেছে। ফেসবুকের নেশা নাকি পেয়ে বসেছিল তাকে!
ঘটনার দিন তার সঙ্গে থাকা বন্ধুরা জানায়, ট্রেন আসতে দেখে চিৎকার করে তাকে সরে আসতে বললেও ট্রেনের আওয়াজ ও অমনোযোগের কারণে সে তাদের ডাক শুনতে পায়নি। এভাবেই একটি তাজা প্রাণ অকালে ঝরে গেল। এজন্য ‘টিকটক’ অ্যাপটিকে দায়ী করছেন অনেকেই। নুরের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।এলাকার মানুষের প্রশ্ন, মোবাইল হাতে পাওয়াই কি কাল হলো নুরের? ঘটনায় জখম হয়েছে সাদাব আলমও।পুলিশ একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করেছে।

ফেসবুক প্রোফাইল: https://www.facebook.com/profile.php?id=100033294592479

 

ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।