মেহেফিল -এ- শায়র মানিক বৈরাগী

আপনি মাংসে হরিনা বৈরী

মাথিনেরা কান্না

হাজার বছর ধরে ক্রমে ক্রমে রক্তপাতে এখানে এসেছে তারা শান্তি ও শাসনের নামে।তাহারা পাড়ি দিয়েছে সমুদ্র নদী পর্বত গিরি বিপদ সংকুল পথ পাড়ি দিয়ে,কত সাধনা বাসনায়।
সেই থেকে ভাগ বিভাগ,ভেদ বিভেদে, খুন রাঙ্গা ভয় জাগা বিভৎস আমরা,কত ভেঙ্গেছি,গড়েছি আমাদের নির্মাণ বিনির্মাণে।কতো যুদ্ধ কতো খুন কতো বাহিনী, তবুও প্রত্ন মানুষেরা স্বস্তিতে ছিলো কোন দিন?
রেহাই পেয়েছে কি মানুষ স্বপ্নের দেশে?
এখানে
খুন হয় নেতা,খুন হয় নেতার পুজারি,সময় ভেদে বিভেদে মনুষ্য দুর্যোগে
প্রতিটি জনপদে জন্ম নেয় মাথিনেরা।
আর্তনাদ, ভয়ার্ত কন্ঠ,
“হ্যালো হ্যালো, আমার হাজব্যান্ড কিচ্ছু করে নাই যে”।
মাথিন অধির প্রতিক্ষায় ভয়ার্ততায় নিশি পার হয়,আরাধ্য পুরুষ হরণের যন্ত্রনা গুঙানি,মাথিনের কান্না সয়ে ক্ষমতা ঘুমায়,ঘুমায় প্রশাসন, মানুষ।
মাথিনের কান্না
আমাকে ঘুমোতে দেয়না,ব্যর্থ হয় স্লিপিং পিল,রাষ্ট্র দানবেরা হরণ করে ঘুম সুখ,মাহিনের মতো নিরাপরাধ নির্বোধ মাথিন।তাদের বেদনা,ক্ষরণে সংক্রমিত হয়ে,স্থায়ি ঘুম চাই, ক্রস চাই আমার ও।
হে রাষ্ট্র আমাকে একটি স্থায়ি ঘুম দাও, নাহয়
অভিশাপ দিচ্ছি
তোদের ঘুমহীন যন্ত্রনার,তন্দ্রাচ্ছন্ন হতেই কর্ণে বাজুক ভয়ার্ত অডিও ক্লিপ।
মাথিনের পক্ষ হতে কন্যার পক্ষ হতে
আমি অভিশাপ দিচ্ছি তোদের
অভিশাপ দিচ্ছি বধির বেদনার
কালো বোরকা পরা দানবেরা সাইরেন চিৎকারে ছুটে দানব গতিতে
কেপে উঠে মাটি,ঠুটে যায় ঘুম ভয়ে,ও নাফ তুই জাগবি কবে?কেমনে বয়ে চলিস খুনরাঙা জল?নাফ তুই কি পারিস না অভিশাপ দিতে?
“আব্বু তুমি কই যাচ্ছ যে
আব্বু তুমি বাড়ী আসবে না
আব্বু তুমি কান্না করছ যে
কন্যার আহাজারিতে কাঁদে,দক্ষিনের পাহাড় সমুদ্র সমতল।কাঁদেনা শুধু খুন কারিগর আর বৈধ খুনি।
এই মৃত্যু জনপদে মনুষ্য রুপে ছুটে শকুনের দল,সঙ্গবদ্ধ সশস্ত্র দলের ভিতিতে বাঁচি কি করে? একটি স্থায়ি ঘুম চাই ঘুম।
মাথিনের নিরাপত্তা চাই।

মাহিনের কন্যারা

ঢেউ জড়ানো পাতাদের সুরভী ছড়ানো
ঝাউয়ের গান শুনি
তীরে বসে উচ্ছল ঢেউয়ে বৃষ্টির খেলায় মুগ্ধ থাকি
মরুর ক্যাকটাস ফলের সাথে কাটাল রসের
যৌগ রসায়নে উত্তপ্ত বুদবুদ বাজনা শুনি
জল জোসনায় ধীরলয়ে আসে জলপরী
আমি অপার হয়ে ছলচ্ছল হাসি শুনি।
তুমি কি দেখতে পাও সখি অদৃশ্যের দৃশ্য?
তুমি কি শুনতে পাও জলদেবের মেঘরাগ?
কখনো কি পান করেছ?অমৃতের ফলজ শরাব
নৃত্য করিনা একা গাইনা কোন গান একা
আমরা যে সমবেত সুফিয়ানা, ইসকে দেওয়ানা
আমাদের দেহ থাকে, কলব লুটে উর্ধ্বালোক
আরাফ আরসে “মাহিনের ঘোড়া ছুটে আসে মর্ত্যলোকে
সেই “ভেজা মেঘের দুপুরে”মাহিনের কন্যারা
আর্তনাদের আদর্শ খেয়ে বাঁচে।

গ্লানি

তবুও সে নারী
প্রতিবাদী নারী
প্রতিবাদ তার অধিকার
প্রতিবাদের ধরণ হয়ত ভুল
তবুও তরুণীর প্রতিবাদ।
আমি মা-পক্ষীয় পুরুষ সন্তান
আমি বোন-পক্ষীয় ভাই
আমি বউ-পক্ষীয় স্বামী
তাদের পক্ষ থেকে বলি
তবুও নারী।
ভুল করে হলেও প্রতিবাদী নারী
শিক্ষার্থী,তরুণী,প্রতিবাদী নারী।
বেগম রোকেয়া,সুফিয়া কামাল, জাহানারা ইমাম আমাদের প্রতিবাদের বহ্নিশিখা,তাঁদেরই প্ররোচনায় সে আজ মুখরা রমণী। মুখরা রমণী বশীকরণ পদ্ধতির ব্যর্থমনোরথে, খনার মতো পিটিয়ে,হাত-পা, জিহবা কেটে নেয়া পুরুষতান্ত্রিক কৌশল নয় কি?
পুরুষ প্রভাবিত করেছে,পুরুষ ঠেলে দিয়েছে তরুণীকে রাজপথে, আর পুরুষ জোট বেঁধে, ইচ্ছে মতো হেনস্থা করেছে তাকে।এই পুরুষ্য রাষ্ট্র, পুরুষ্য সমাজ তাকে বাধ্য করেছে প্রতিবাদী হতে।
হয়তো সে চরমপন্থী নারী,হয়তো সে উগ্র মৌলবাদী,আত্মঘাতি জঙ্গী নারী। এ সবের দায়, পেছনে পুরুষ্য সমাজ – রাষ্ট্র এড়ায় কি করে ?
আমরা কি পারি না বিপরীত যুক্তি দাঁড় করাতে?যদি নাইবা পারি, এমনতর নিষ্ঠুর দমন, বিনা সমনে?বিনাবাক্যে?
কিভাবে করো নারীর কন্ঠরোধ ?
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।