মেহেফিল -এ- শায়র সুহিতা সুলতানা

অনন্ত চাঁদের আয়নায়

ক্রমশ চাঁদ ও মেঘের ভেতর দিয়ে উড়ে যাচ্ছিল আয়না জাদুকর
যে আয়নার নিজেকে ছাড়া অন্যকে দেখা যায় না! কিন্তু আমি
আয়না ছাড়াই তোমাকে দেখতে পাচ্ছিলাম। অদ্ভুত জীবনের
ভেতরে কখনো কখনো সাতরঙা আসমান রঙধনু হয়ে মুগ্ধতায়
আরক্ত করে রাখতে চায়। লু হাওয়ায় উড়ে যাচ্ছিল অসংখ্য
বালির অনুতাপ! অন্যমনস্কভাবে  নক্ষত্রের আলো এসে পড়ছিল
আমার মুখের ওপর! অনন্ত চাঁদের আয়নায় ভেসে উঠছিল
এক ঝাঁক নেকড়ের অগ্নিনৃত্য। স্বর্গের দরোজায় দাঁড়িয়ে
থাকেন ঈশ্বর, তোমার হৃদয়ের খুউব কাছাকাছি অবিরল নদী,
যেখানে আকাঙ্খা শুয়ে থাকে অনমত্ম সূর্যের বাড়ি। ক্রমশ আলোর
মাকড়শা মধ্যরাতে স্বপ্নজাল হয়ে গোধূলির রঙে রাঙিয়ে দিচ্ছিল
তারার মতো দুটি চোখ; যতবার আমি তোমাকে স্পর্শ করতে
চাইলাম ততবার তুমি নীল শূন্যতায় অদৃশ্য হয়ে যাচ্ছিলে!
বিস্ময়করভাবে তোমার একটি আঙুল থেকে রক্ত চুঁইয়ে
পড়ছিল আকাঙ্খা আর স্মৃতির ভেতরে; পৃথিবী ঘুড়ির মতো
উড়ছিল। নরকের জানালা থেকে একটি শ্বেত ভল্লুক দিগন্তের
সকল অভিশাপ বুকের ভেতরে নিয়ে পাখি হয়ে উড়ে যেতে চাইছিল…
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।