সেই কৈশোরের বাঁওড় হিজল গাছ ডিঙি নৌকা সে য্যানো এক স্বপ্নপুরী ঘোলা জলের সাথে ফড়িংয়ের জন্মবৃত্তান্ত উঠে আসে। বিচ্ছিন্ন জীবনের কিছু স্মৃতি ঘাটে বাঁধা থাকে। বিলাম্বু গাছের তলা থেকে পিছু নেয় এক অবিশ্বস্ত রহস্যময় প্রেতপুরী। শিশির ভেজা ঘাসে চিক্ চিক্ করে ওঠে চাঁদমুখ। শরীরে জলের স্রোত বয়ে যায়। তারপর কে কোথায় কি ভাবে আছে মনে নেই। যার আসবার কথা ছিল সে আসেনি বলে জলের নিচে বিষাদের হাসি স্বপ্নের মতো স্বেচ্ছাচারী হয়ে ওঠে। নিঃসঙ্গতার কোনো শেষ নেই অন্ধ মাছির মতো জুড়ে বসে মনের ওপর হাওয়ার ছোঁয়ায় দুলে ওঠে ছায়া; পুরোনো বিস্মৃত সেই স্মৃতি নোতুন করে দেহ থেকে প্রাণের ভেতরে খেলা করে শুরু হয় মৃত্যু সংগম