“রথযাত্রা Special” কবিতায় সায়ন

সায়ন : আমার সৃষ্টিই আমার পরিচয় । কবিতার বই 'সোমবারের ভোর'(পাঠক)। কবিতা ও নাটক আমার সমস্ত ভাবনার হৃৎপিণ্ড ।

রথচক্রের দেশ

ঊর্ধ্ববাহুর্বিরৌম্যেষ ন চ কশ্চিচ্ছৃণোতি মাম।
“বাহু তুলে চিৎকার করছি। কিন্তু কেউ শুনছে না।”
কে অভেদ, কে নিত্য, কে যে পতনের কাছে নত
ভারতবর্ষের মাটিতে জানু পেতে বসি,ধর্ম ও বর্ণ
আমার রথচক্র, স্পর্শহীন,ভূমি থেকে উর্দ্ধে
তাইতো শুধু তুমিই ছুটে যাবে, আনত অর্জুন
আদিগন্ত প্রগতির শুভাশুভ,কল্পশেষ তোমার
দেখো বাসুদেব, মাটিতে লুটিয়ে যায় অক্ষম দেহ
এ রথের চাকা সময়, ঘড়ি ভাঙছে তীরে
কবি ও ব্যবসায়ী : একটা প্রাঙ্গন, সমভাবী বায়ু
বিষ আর বিষাক্ত বন্দী, ছুটে আসা আলোর চেয়ে
ঘোড়ার খুরের তেজ,মাটিতে উচিয়ে, অবশেষ
আমার কাছে, আমার নিচে তাকিয়ে দেখ,
গোটা আকাশ, রক্তহীন ঘ্রাণ, পার্থ- দেখ এই দেশ
শুধু হেঁটে চলা, মৃতের আলতা ছাপ, রাক্ষসী চাঁদ
বহমান সন্তানগর্ভে রাখা মাতা,পিতারা আসে
মহাবাহু, এখন তুমি গান্ডীব রেখে, তথ্য নাও
বলে দাও রথের নির্দেশ, অন্ত্যজের মুখে দান
আমাকে বসিয়ে রথে, এ কোন দেশের মাটি!
বাসুদেব, বন্দী পেট কি মুক্তির পথ জানে –
কুরুক্ষেত্রের মাটিতে , যদি তীব্র হয় চাকা
রক্তদাগের ভারতকাব্য, তোমার হাতে লেখা।
ফেসবুক দিয়ে আপনার মন্তব্য করুন
Spread the love

You may also like...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

কপি করার অনুমতি নেই।