“আমার থেকে হজমির শিশি কিনলে আমি তোমার ধর্মের কোনো গান গাইব “
একটা সাধারণ ছেলে। শহর কলকাতায় চাকরি করবে হয়ত এমন সার্টিফিকেট তার নেই। হজমির শিশি বিক্রি করে কত টাকাই বা পাবে বলুন? খুব জোর হলে সারাদিনে ১০০ টাকা। ১০০ টাকাতে কি হয় আজকের বাজারে? নিজেরটুকও চলেনা। তার ওপরে যদি মাথায় সংসার থাকে একটা ছেলের, চলবে তো? ঐ ছেলেটার কোনো দোষ নেই। ধর্মের গান গেয়ে যদি দুটো পয়সা হয়, তবে বলব ধর্ম সকলকে খেতে দিক।
“তবে কি ছেলেটা ধর্মকে নিয়ে ব্যবসা করবে?”
কেন করবেনা? কে করেনা? ধর্ম নিয়ে যারা সারাক্ষণ আওড়ায় তারা ইশ্বরের নাম চাঁদা কাটে, পাপ থেকে মুক্তি দেওয়ার জন্য উপোষ দিতে বলে! শুধু কি ইশ্বরের এসিটেন্স নাকি? রাজনৈতিক দলের নেতারাও কম যায় কোথায়? ধর্ম নিয়ে ব্যবসাই তো ফাঁদে তারা! আর ঐ ছেলেটা করছে বলেই দোষ? বেশ করছে। ধর্মের অর্থ ধারণ করা। যদি আমি লেখার প্রতি লক্ষ্য করে এগিয়ে যাই, তবে লেখাটাই আমার ধর্ম। আমার ধর্ম আমাকে এক বেলা খেতে দেবে। আমার ইশ্বর আমার লেখা। আমি লিখে রোজগার করতে পারবো। কিন্তু যিনি ‘নিরাকার’ , যিনি ‘ইশ্বর’ তিনি কিভাবে খেতে-পরতে দেবেন? আপনাকে আপনার ধর্ম খেতে দেয়?
যান যান দু-পয়সা দান করুন। কারোকে পেট ভরে দুবেলা খাওয়ানোর দায়িত্ব নিন। যদি সেবার জন্য নিজেকে সমর্পণ করতে পারেন তবে সেবাটাই আপনার ধর্ম হয়ে উঠবে। ঐ ছেলেটার ধর্ম যেভাবেই হোক রোজগার করা, আমার ধর্ম সত্যি কথা তুলে ধরা, আপনার ধর্ম আপনাকে বিভেদ করতে শেখাবে নাকি ভালোবাসতে সেটা আপনার ওপরে।