গাছেদের কথা, ফুলেদের কথা, পাতায় পাতায় রোদ চুরি করে আল্পনা আঁকা রেখাগুলো বর্ষার জলে আরো সতেজ আর প্রাণবন্ত হয়ে ওঠে। এখন ছুটি, স্কুল,স্কুলের হোমওয়ার্ক, পরীক্ষার ঝঞ্ঝাট সবকিছু ভুলেও ঘন্টার পর ঘন্টা শুধু বৃষ্টির ছাঁট উপভোগ করা। সকালবেলাগুলো একটু ঘুমঘুম ভাব, শনি, রবি আর বাকি ছুটির দিন অনেকটাই একরকম মনে হয়, একটা বালিশে মাথা রেখে মাকে বলি মা শুধু বিকেল হওয়ার আগে শ্যাওলা শ্যাওলা, গাছ গাছ গন্ধটা পেতে পেতেই ঘুমিয়ে করবো, একটু মাথায় হাত বুলিয়ে দেবে? বাবা সক্কাল সক্কাল বাজার করে এনে রেডিও চালিয়ে দেয়, কিছুক্ষন খবর, কিছুক্ষন আমার আর মায়ের প্রিয় গান সেই রেডিওতে শুনি, সেই যে কবি বলে গিয়েছিলেন, “শ্রাবন বরিষণ পার হয়ে কি বাণী”।
কখনো টুপটাপ, কখনো ঝিরঝির, কখনো বা সামনের কয়েকটা বাড়ির লাগোয়া আসবেস্টসের ছাতের ওপর দামামা বজায় বৃষ্টির মোটা মোটা ফোঁটাগুলো।বৃষ্টি এলো এলো সেই অপেক্ষাতেই হয়তো বেশ অনেকদিন চলে যায়, আর যখন আমার শহরে প্রথম বৃষ্টি নামে, তখন ভালোলাগা, উত্তপ্ততা ছাড়িয়েও বর্ষাকে জড়িয়ে ধরার মধ্যেও প্রত্যহিকীর থেকেও অনেক বেশি উচাটন থাকে।শুধু মনে হয় আরো বৃষ্টির ফোঁটা ঝরুক, শহরের স্রোতে স্রোতে মিলেমিশে যাক জলের কলরব।
আমরা সাহিত্য হৈচৈ-এ প্রত্যেক শনিবার নিয়ে আসছি সেই মন-ভালো করার বৃষ্টির ফোঁটা, ছোট্ট বন্ধুদের জন্যে তো অবশ্যই, আর সব্বাই যারা যারা ছোট্টবেলাগুলোকে আবার ফিরে পেতে চাও। তোমাদের গল্প, বায়না, কবিতা, আঁকা, ভালোলাগা, মন্দলাগা, দুষ্টুমি সবকিছুর জন্যে আছি আমরা টীম টেকটাচটক শনিবারের ‘হৈচৈ’ নিয়ে।